শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫৪

বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা

আমাদের মনে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উৎকণ্ঠা জন্ম নিয়েছে

শামীম হাসান
আমাদের মনে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উৎকণ্ঠা জন্ম নিয়েছে

প্রাণঘাতি করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাব্যাবস্থার এমন নাজুক পরিস্থিতে আগামীতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী কারা হবেন তা নির্দিষ্ট করে হয়তো বলা কঠিন। তবে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা যে এ তালিকার শীর্ষে তার বাস্তবতাই বলে দিচ্ছে। জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে সরেজমিনে কোন ক্লাস না করেই তাদের দিতে হচ্ছে এসএসসি বোর্ড পরীক্ষা। প্র্যাক্টিকেল ক্লাস তাদের কাছে রূপ কথার গল্পের মতই। ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সবচেয়ে বেশি ঘাত-প্রতিঘাত পোহানো একটা চ্যালেঞ্জ থেকেই যাবে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময় কেটে যাওয়ার পর লম্বা একটা সময় পার হলেও আদৌ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হবে কি-না, হলেও কবে হবে তা নিয়ে রয়েছে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের একটি বিশেষ প্রস্তুতি থাকে। করোনার কারনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এবং পূর্বের ফলাফল অনুযায়ী ফল প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীদের মনে একটা বিষন্নতা সৃষ্টি হয়েছে। অনার্স পড়ুয়া যারা কঠোর পরিশ্রম করে নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছিলো তাদের সফরটা যেন মাঝ পথেই থমকে গেলো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদের মনে আশার আলো ফুটবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে তেমনি কিছু প্রত্যাশা ও আক্ষেপের কথা চাঁদপুর কন্ঠকে জানিয়েছেন ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ২০২১ সালের এইচএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সাবরিন সাকা মীম।

চাঁদপুর কন্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বারবার পেছানোটা কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কি-না? সাবরিন সাকা মীম : হ্যাঁ। একবার প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন পরীক্ষা আবার পেছানো হয়, তখন প্রস্তুতিটা আর থাকে না। সব মিলিয়ে মানসিক ভাবেও একটা চাপ সৃষ্টি হয়।

চাঁদপুর কন্ঠ : করোনায় কেমন চলছে পড়ালেখা? সাবরিন সাকা মীম : যেহেতু সামনেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা তাই লেখাপড়া করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে আমাদের লেখাপড়া যেভাবে হওয়া প্রয়োজন সেভাবে চলছে না।

চাঁদপুর কন্ঠ : মানসিক অবস্থা কেমন? সাবরিন সাকা মীম : প্রায় দেড় বছর বাসায় থাকার কারনে মানসিক অবসাদ দেখা দিয়েছে। সকল কিছুতেই যেন অনিহা সৃষ্টি হচ্ছে ক্রমাগত।

চাঁদপুর কন্ঠ : পড়ালেখা যেহেতু প্রায় বন্ধ। বিকল্প কোন কাজ করছেন কী? সাবরিন সাকা মীম : যে কোন সময় ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারন করা হবে সে কারনে প্রস্তুতিটা ধরে রাখার জন্য ধারাবাহিক ভাবে পড়াশোনা করার চেস্টা করছি ৷ এর বাইরে তেমন কিছুই করছি না। কারন কোন উদ্যোগ হাতে নেওয়ার পর ঘোষণা এলেইতো আবার সব বৃথা হয়ে যাবে।

চাঁদপুর কন্ঠ : আপনি কি মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সময়ের দাবী? সাবরিন সাকা মীম : হ্যাঁ অবশ্যই। বর্তমান সময়ে যত তাড়াতাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া যাবে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতির হাত থেকে তত দ্রুত রক্ষা পাবে।

চাঁদপুর কন্ঠ : প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আপনার প্রতিক্রিয়া কী? সাবরিন সাকা মীম : মানসিক অবসাদে ভুগছি। দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

চাঁদপুর কন্ঠ : অনলাইন পাঠদান কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে করেন? সাবরিন সাকা মীম : অনলাইনে পাঠদানে মাধ্যমে শুধু মাত্র বই এর পাঠই শিখা যায়। শিক্ষার যে প্রধান মানসিক বিকাশ, তা অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে সম্ভব হয় না।

চাঁদপুর কন্ঠ : স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে আপনার মতামত কী?

সাবরিন সাকা মীম : এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে একটি বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৬টি দলে ভাগ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেক দলের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন করে পাঠদানের কার্যক্রম চালু করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়