শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

কামতায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

কামতায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জের কামতায় সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছেন ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের কামতা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির। তিনি এই মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি ও ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোঃ ইদ্রিস বেপারীর ছেলে মোঃ ইমাম হোসেন ও তার ভাইদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। তাদের ও তাদের পিতার অনুরোধে সমস্যাটি সমাধান করতে আমরা কজন সেই বাড়িতে যাই। বৈঠকে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারার বিষয়ে আমি কয়েকটি সঠিক পয়েন্ট তুলে ধরলে মামলাবাজ প্রবাসী ইমাম হোসেন ও জিয়াউল হক আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কারণ, আমার কথাগুলো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করলে প্রত্যেক ভাই সমান সমান উপকার পায়। কিন্তু ইমাম হোসেন ও জিয়াউল হক চেয়েছিল তাদের আপন ভাই ইয়াছিনকে ঠকিয়ে তাদের সুবিধামতো সম্পত্তি ভাগ করে নিবে। পরে তারা আমাকে ম্যানেজ করার জন্য বারবার টাকার প্রস্তাব দেয় এবং আমার উপর চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমি সঠিক কথা থেকে সরে না আসায় তারা ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সোমবার কামতা বাজারের বাদলের দোকানের সামনে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে বাজার কমিটির সভাপতি বতু বেপারী, সাধারণ সম্পাদক কাউসার ভূঁইয়াসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আমাকে উদ্ধার করেন। তারপরেও তারা ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং পরে আবার তাদের স্ত্রীদের দিয়ে বারবার মিথ্যা দিয়ে হয়রানি করছে।

হুমায়ুন আরো বলেন, তারা প্রবাসী। প্রচুর অর্থ সম্পদ টাকার জোরে ইতিপূর্বে আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে জেলে নিয়েছে। তাদের আপন ভাই ইয়াছিন। সে অসহায়, তারা প্রতিনিয়ত তাকে ঠকিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে এলাকার সুধীজন জয়নাল আবদিন, ফয়েজ সওদাগর, বদরুল ভূঁইয়া, হাছান পাটোয়ারী, আনোয়ার হোসেন বলেন, হুমায়ুন কবির সহজ-সরল ও সত্যবাদী লোক। তিনি মামলাবাজ ইমাম হোসেনের ভাই অসহায় ইয়াছিনের পক্ষে কথা বলায় এবং তার সততা ও সরলতার কারণে ইমাম হোসেনদের মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা ইমাম হোসেনদের দ্বারা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।

কামতা বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ বতু বেপারী বলেন, এভাবে মামলা মোকাদ্দমা এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে। আমি মনে করি, ইমাম হোসেন গং মামলা তুলে নিক।

কামতা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাউসার ভূঁইয়া বলেন, হুমায়ুন বেপারী সৎ ও সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। কার ভালো হবে, কার খারাপ হবে সেসব বিবেচনা না করে তিনি সবসময় সত্য কথা বলেন। তার সেই সত্য কথা বলাটাই ইমাম হোসেনদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ইমাম হোসেনরা হুমায়ুন বেপারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানাই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে বিশ্বাস করি।

এছাড়া কাউসার ভূঁইয়াসহ এলাকার কয়েকজন বলেন, হুমায়ূন বেপারী দিনমজুর। দিন এনে দিন খায়। কোনোমতে তার সংসার চলে। ইমাম হোসেনদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে যে বিরোধ চলে আসছে সেই ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিতেই হুমায়ুনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যার নং জিআর ৩৫২/১৯, জিআর ৫৫/২০, জিআর ৮৭/২১। ভুক্তভোগী হুমায়ুনের বিরুদ্ধে করা হয়রানিরমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়