প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০০
শখের মোটর সাইকেলেই শেষ হলো সাইমুন
শখের মোটর সাইকেলেই শেষ হলো কিশোর সাইমুন। টানা ৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ফেললো সে। নির্মম এই ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের। অথচ বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর জন্ম নেয়া সন্তান সাইমুন ছিল বাবার আদরের দুলাল। যখন যা চাইতো প্রবাসী বাবা দুই হাত খুলে ছেলের আবদার মিটাতেন। কিন্তু ছেলের সর্বশেষ আবদার মেটাতে কিনে দেয়া মোটর সাইকেলই প্রাণ কেড়ে নিলো একমাত্র আদরের সেই ছেলের প্রাণ।
|আরো খবর
জানা গেছে, পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ালি গ্রামের বড়ো বাড়ির কাতার প্রবাসী হান্নান গাজী ও শিপনী বেগম দম্পতির ঘরে বিয়ের দশ বছর পর সাইমুনের জন্ম হয়। দীর্ঘদিন পর ঘর আলো করে আসা একামাত্র ছেলের সকল আবদার মেটাতেন বাবা ও মা।
স্থানীয় আদর্শ একাডেমির দশম শ্রেণির সাইমুন (১৫)-এর সর্বশেষ আবদার ছিলো একটি মোটর সাইকেল। ছেলের আবদার মেটাতে বাবা হান্নান গাজী গত কয়েক মাস পূর্বে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। কিন্তু শখের মোটর সাইকেলই সাইমুনের জীবনের জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ালো।
সাইমুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার প্রতিবেশী চাচা এফ এ মাানিক জানান, গত ৬ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সাইমুন নিজের মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে পৌর এলাকার ওনুআ চত্বরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ নভেম্বর (বুধবার) রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর ছেলের শোকে পাগলপ্রায় মা শিপনী বেগম। অন্যদিকে প্রবাসে থাকলেও বাবা হান্নান গাজীও ছেলের শোকে পাথর হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। পুরো এলাকা জুড়ে বইছে শোকের মাতম।