শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৬

ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে তলব

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে তলব

ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার ফকিহ ও মুহাদ্দিস পদে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্নের অভিযোগ থাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ. এম. আনোয়ার হোসেন মোল্লাকে তলব করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসাইনের স্বাক্ষরিত একটি পত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বরাবর পাঠানো হয়। পত্রে উল্লেখ করা হয়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ. এম. আনোয়ার মোল্লা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮-এর পরিশিষ্ট ঘ-এর বিধি লঙ্ঘন করে ফকিহ ও মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন মর্মে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং উক্ত বিষয়ে একাধিক অভিযোগ অধিদপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত সংবাদ এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ণিত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ. এম. আনোয়ার হোসেন মোল্লা, হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং মোঃ মোশারফ হোসেনকে সশরীরে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হয়ে উপ-পরিচালক (অর্থ), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিকট আগামী ১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে এইচ.এম আনোয়ার হোসাইন মোল্লা এ প্রতিনিধিকে বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট এবং অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা অধিদপ্তর আমাদের চিঠি দিয়েছে। এর আগে ৩১ অক্টোবর আমাদেরকে মৌখিকভাবে ডেকে নিয়েছেন এবং বলেছেন স্কেল অনুযায়ী হাবিবুর রহমান মোল্লারটা ঠিক আছে, কিন্তু মোঃ মোশারফ হোসেনেরটা ঠিক নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি কমিটিকে বলেছি। তারা হাবিবুর রহমান এবং মোঃ মোশারফ হোসেনের নিয়োগ বাদ দিতে চান না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, এমপিও সংক্রান্ত কাগজপত্র আমার কাছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমা দিয়েছে। কিন্তু আমি শুনেছি এই নিয়োগ নিয়ে পুনঃ তদন্ত রয়েছে। তাই আমি আমার কাজ বন্ধ রেখেছি। উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় ফকিহ এবং মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ নিয়ে উপজেলাজুড়ে হৈচৈ সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিধি বহির্ভূতভাবে সম্পূর্ণ অনিয়মের মাধ্যমে এই দুটি পদে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা জানতে পেরে এইচ.এম. আনোয়ার মোল্লার মুখোমুখি হলে তিনি অনিয়মের কথা স্বীকার করে তা বাতিল করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন বলে সাংবাদিকদের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে অতি গোপনে তিনি ঐ দুজনকেই নিয়োগ দিয়ে দিয়েছেন। নিয়োগকৃতরা ক্লাস নিয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের কাছে তথ্য রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়