প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৪৪
পুরাণবাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকান দখল নিয়ে অপপ্রচার
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার লোহারপুল এলাকায় মামা ভাগিনা ট্রেডার্স নামে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি দোকান দখল নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দোকানের চাবি এবং দখল মালিকপক্ষের হাতে রয়েছে।
জানা যায়, চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী দাস বাড়ি এলাকার অজিত কুমার দাস এবং দুলাল দাস গংয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে লোহারপুল বাজারে একটি দোকান রয়েছে। যা স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবত তারা ভোগদখল করে আসছেন। সর্বশেষ তাদের দোকানটি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ গাজীকে ভাড়া দেন। সোহাগ গাজী মামা ভাগিনা ট্রেডার্স নামে ওই দোকানটি ভাড়ায় পরিচালনা করতো।
এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর স্থানীয় একদল দুর্বৃত্ত দোকানটি দখলের চেষ্টা করে। তারা দোকানের সার্টার ভাংচুর করে তালা দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাঁদপুর শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শাহজালাল শেখ, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি খালেক খান এবং ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল খানসহ এলাকার মুরুব্বিরা দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করেন। তাদের হস্তক্ষেপে দোকানটি ভাংচুরের হাত থেকে রক্ষা পায়। এ সময় উল্লেখিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানের চাবি প্রকৃত মালিক অজিত কুমার দাস ও দুলাল দাসদের হাতে বুঝিয়ে দেন।
অপরদিকে স্থানীয় শংকর দত্তের ছেলে তন্ময় দত্ত (মামা ভাগিনা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী) উল্লেখিত দোকানের ভাড়াটিয়া সোহাগ গাজীর সাথে ব্যক্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দোকানটি তার বলে দাবি করে। এ বিষয়ে সে তার নিজের ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন লেখা পোস্ট করে। তন্ময় এলাকার ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালায়।
বিষয়টি নিয়ে দোকান মালিক অজিত কুমার দাস এবং দুলাল দাসরা চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদ চৌধুরীকে অবগত করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 'অপপ্রচার বন্ধ না হলে' প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে দোকান মালিক অজিত কুমার দাস এবং দুলাল দাস গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের বাপ-দাদারা স্বর্গীয় নারায়ণ চন্দ্র শীলের কাছ থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই সম্প্রতি ক্রয় করেছিলেন। এরপর থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে আমরা এবং আমাদের ভাইরা এই সম্পত্তি ও দোকানটি ভোগদখল করে আসছি।
স্থানীয় শংকর দত্তের ছেলে তন্ময় দত্ত দোকান দখল করা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী শাহজালাল শেখকে নিয়ে যে লেখালেখি করছে তা সঠিক নয়। আমাদের দোকান কেউ দখল করেনি। উল্লেখিত স্থানীয় ব্যক্তিরা আমাদেরকে এই দোকানটি দখলের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। বর্তমানে দোকানের দখল এবং চাবি আমাদের কাছে রয়েছে।