প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫৭
নানার বাড়িতে এসে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ১৫ মাস বয়সের আরাফাত ইসলাম নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪ টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া মাস্টার রোড খোকন রাড়ির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব চর কৃষ্ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম মল্লিকের মেয়ে।
|আরো খবর
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলামের স্ত্রী শুক্রবার সকালে তার শিশু সন্তান আরাফাত ইসলামকে নিয়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে যান। বিকেল ৪ টার সময় ছেলেকে ভাত খাওয়ানো অবস্থায় সে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আর শিশুটির মা তার মায়ের সাথে কথা বলতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ দেখেন শিশুটি ঘরে নেই। তখন বাড়ির সবাই মিলে খোঁজ করতে থাকেন। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন শিশুটির নিথর দেহ পানিতে ভেসে আছে। শিশুটিকে নিয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুটিকে তাদের নিজ বাড়ি হাইমচরে নিয়ে আসেন। শিশু আরাফাতের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃত শিশুর মা জানান, শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে বাড়িতে যেতে মন চাইছে। তাই কাউকে না বলেই বাপের বাড়ি চলে গেছি। যেন আমি আমার ছেলেকে হারানোর জন্যেই ঐ বাড়িতে গেছি। কেন গেলাম, না গেলে আমার ছেলেটি আজ পানিতে পড়তো না। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমি তাকে ভাত খাওয়ানোর সময় মায়ের সাথে কথা বলতেছিলাম। ভাত খাওয়ার পর কোন্ সময় সে পুকুরে গেছে আমি জানি না। আমার হাতে তার ভাতের প্লেট। আমার মা বলেন, তুই কারে ভাত খাওয়াচ্ছিস, সে কই? দৌড়ে গিয়ে দেখি, ছেলে পানিতে ভেসে আছে। আমার ছেলেকে আমি নিজের দোষের কারণে হারিয়েছি।
শিশু আরাফাতের পিতা নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২ কন্যা সন্তানের পর এই ছেলেটি এসেছে। অনেক আদরের সন্তান ছিলো আরাফাত। আজ তার বংশের প্রদীপ নিভে গেল। সে তার আদরের সন্তানকে হারিয়েছে। চোখের সামনে ছেলেটি শুয়ে আছে, কথা বলছে না। নির্বাক চোখে তাকিয়ে আছেন আর ভাবছেন, যদি ছেলেটি কোনোভাবে বেঁচে যেতো। আল্লাহ কি পারতো না তার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে? এমন ভাবেই কান্নাজড়িত কন্ঠে তার মনের কষ্টের কথাগুলো বলেন।