মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৪৫

মতলব উত্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে অনিয়ম

মতলব উত্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে অনিয়ম
অনলাইন ডেস্ক

মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা ও ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ক্লাস্টারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে চাহিদাভিত্তিক সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।

জানা যায়, ক্লাস্টার প্রশিক্ষণের জন্যে খাবার ভাতা ৫৪০-৫৪ (ভ্যাট-১০%)= ৪৮৬ টাকা, ফাইল, প্যাড ও কলম ৬০- ৯ (ভ্যাট ১৫%)= ৫১ টাকা এবং মার্কার, পোস্টার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ১০০০-১৫০ (ভ্যাট-১৫%)= ৮৫০ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ছেংগারচর পৌরসভা ও ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার অফিসার ও মতলব উত্তরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আহসানুজ্জামান লুলু এই বরাদ্দ অধিকাংশ শিক্ষকদের না দিয়ে একা নিজেই ভোগ করেন এবং প্রশিক্ষণের সময় উপস্থিত থাকে না তিনি।

নাম না জানানো একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, আমাদের যখন সাব ক্লাস্টার ট্রেনিং করা হয়, ক্লাস্টারের ক্লাস্টার অফিসার আহসানুজ্জামান লুলু উপস্থিত থাকেন না, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তিনি বাইরে থাকেন।

তারা আরও জানান, আমাদের প্রশিক্ষণে যে এতো টাকা বরাদ্দ হয় তা আমরা জানতাম না, আমাদের কম দামী প্যাড, কলম নিম্নমানের দেয়া হয়েছে। সকালের নাস্তা দুটি সিঙ্গারা, এক পিচ পেয়ারা আর দুপুরে শুধু ৮০ টাকার প্যাকেটের এক প্যাকেট বিরিয়ানি দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন শিক্ষক জানান, আহসানুজ্জামান লুলু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ওপেন ভোট চেয়েছিলেন, যে কারণে তাকে শিক্ষা অফিস তলব করেছিলো। পরে তখনকার এমপির প্রভাব খাটিয়ে ওই তলবের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ছেংগারচর পৌরসভা ও ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার অফিসার আহসানুজ্জামান লুলু জানান, আমি সঠিক সময়েই ক্লাস্টারের ট্রেনিংয়ে আসার চেষ্টা করি, মাঝেমধ্যে অফিসের জরুরি কাজ থাকায় বাইরে থাকা লাগে। ক্লাস্টারের ট্রেনিংয়ের শেষে যে টাকা অবশিষ্ট থাকবে সেগুলো ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেয়া হবে। সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়