শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮

দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সিঁড়ির নিচে অফিস, এক কক্ষে দুই শ্রেণীর পাঠদান

সিঁড়ির নিচে অফিস, এক কক্ষে দুই শ্রেণীর পাঠদান
মো. মঈনুল ইসলাম কাজল

শাহরাস্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ সিঁড়ির নিচে। এছাড়া একটি কক্ষে একই সাথে দুই শ্রেণীর পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন ৬ জন শিক্ষিকা। এ বিদ্যালয়টিতে রয়েছে মাত্র দুটি শ্রেণী কক্ষ, নেই কোনো অফিস রুম । বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সিঁড়ির নিচে অফিস করে যাচ্ছেন। সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিশু শ্রেণী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠদান চলে। ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠদান করানো হয়। এতে করে একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণী ও আরেকটি কক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন শিক্ষিকা। নিজেদের কাছে বিষয়টি খুবই অস্বস্তিকর এবং দৃষ্টিকটু মনে হলেও বাধ্য হয়েই এটি করে যাচ্ছেন বলে তাঁরা জানান।

শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ও পৌরসভা ভবন থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পৌর এলাকার ৮নং সদর ওয়ার্ডে অবস্থিত চরমভাবে অবহেলিত এ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার জানান, ২০১৭ সালে তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তারপর থেকেই প্রতিবছর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্যে লিখিত আবেদন করে যাচ্ছেন । কিন্তু কোনো প্রকার সহযোগিতা পাননি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আক্তার হোসেন জানান, বিদ্যালয়টির ভবন প্রয়োজন, আমরা কয়েকবার তালিকাভুক্ত করে ভবনের জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এমনকি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকেও তালিকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি।

সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, একটি কক্ষে দুটি শ্রেণীর পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের অফিস নেই, নামাজের স্থান নেই।

নিজমেহের গ্রামের মনির হোসেন জানান, এ এলাকাটি পাকিস্তানপাড়া নামে পরিচিত। তাই বিগত সরকারের আমলে স্কুলটির কোনো কাজ হয়নি।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ২০১৭ সালে দুই রুমের নতুন ভবন করা হয়। সে সময় শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতাহেতু ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্যে আশ্বস্ত করা হয়। ৮ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো কিছু হয়নি। এতে করে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়