প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৫১
চতুর্থ দশকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখেই চাঁদপুর কণ্ঠের অগ্রযাত্রা

২০২৪ সালের ১৭ জুন চাঁদপুর কণ্ঠের তিন দশক তথা ৩০ বছরপূর্তি হয়েছে। ১৮ জুন ২০২৪ থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ দশকে যাত্রা। ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হলেও ৫ আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, আর তা’ থেকে উত্তরণে যে সময়টুকু ব্যয় হয়, তাতে অন্যান্য পত্রিকার ন্যায় চাঁদপুর কণ্ঠের স্বাভাবিক গতিশীলতা ধকলপ্রাপ্ত হয়। সেটুকু সামলিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের অগ্রযাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিক হলেও প্রতিনিয়ত নূতন নূতন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
পাঠকের রুচি ও চাহিদার পরিবর্তন এবং সে আলোকে অভিযোজন করার সক্ষমতা অর্জন নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। চতুর্থ দশকের শুরু থেকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলার কষ্টটুকু করতে হচ্ছে চাঁদপুর কণ্ঠকে। প্রিন্টিং সংস্করণের পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণে বেশি মনোযোগ দেয়ার কারণে কর্মঘণ্টা বাড়াতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট সকলকে। কর্মঘণ্টা বাড়ানোর চেয়ে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকা এবং তীক্ষè সচেতনতা বজায় রাখাটা কষ্টকর। সংবাদ পরিবেশন ও প্রকাশে তাৎক্ষণিকতা রক্ষার প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হতে হচ্ছে ঝুঁকির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ব্যক্তিমাত্রই কে কার আগে কোন্ তথ্য পরিবেশন করবে কিংবা নাগরিক-সাংবাদিকতায় মত্ত হবে সেটা নিয়ে থাকে ব্যস্ত। এতে চাঁদপুর কণ্ঠ কেনো, মুদ্রিত গণমাধ্যমমাত্রই পাঠক ধরে রাখার নিত্য নতুন কৌশল রপ্ত করার প্রয়াস চালাতে হয়। এই প্রয়াসে ব্যর্থ হয়ে কোনো কোনো প্রকাশক রণে ভঙ্গ দেয়া ও অসহায় আত্মসমর্পণ যে ইতোমধ্যে করে নি, সেটা কিন্তু নয়।
সাংবাদিকতায় সেকেলে ধারা অবলম্বন বা গতানুগতিক চর্চার সুযোগ এখন কারো জন্যে নেই বললেই চলে। হালনাগাদ বা আপডেট থাকতে না পারা সাংবাদিকদের দিন শেষ হয়ে গেছে বললে অত্যুক্তি হবে না। এমতাবস্থায় চতুর্থ দশকে পুরাতনদেরকে ঝালিয়ে নিয়ে এবং নূতনদের সন্নিবেশ ঘটিয়ে সম্মিলিত প্রয়াসে চাঁদপুর কণ্ঠের অগ্রযাত্রা ধরে রাখা এবং অস্তিত্বকে টেকসই করাটা কতোটুকু সম্ভব হয়--সেটাই এখন দেখার পালা। প্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী! আপনারা নিরন্তর দোয়া, অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা করবেন, যাতে চাঁদপুর কণ্ঠ তার বৈশিষ্ট্য, স্বকীয়তা ও ঐতিহ্য ধরে রেখে সমকাল বিবেচনায় চিরকালের গ্রহণযোগ্যতার পথে কেবলই এগিয়ে যেতে পারে।