প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২১, ১৮:৩২
হরিণা ফেরিঘাট-চান্দ্রা-ভাটিয়ালপুর সড়কের দুরবস্থা
চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের গুরুত্বপুর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে চাঁদপুর জেলার হরিণা ফেরিঘাট থেকে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক। চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় ক্রমশ: গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই সড়কটি। ইতিমধ্যেই মেঘনা নদীর উপর চাঁদপুর-শরিয়তপুর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলছে। সর্বশেষ নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু পিলারে পরপর ৪বার ফেরি ধাক্কা খাওয়ায় কর্তৃৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের মালবাহী গাড়ীগুলোকে চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে সড়কের ব্যস্ততা।
|আরো খবর
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পুরো ১১ কিলোমিটার সড়কটির স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিদায় নেয়া বর্ষায় সড়কটি দিয়ে চলাচল গাড়ীগুলোকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার গর্তগুলো নিজেরা ইট বালি দিয়ে ভরাট করে দেয়ায় ঝুঁকি স্বত্ত্বেও যানচলাচল অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়কের চাঁদপুর সদর উপজেলার হক মার্কেটের ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, হক মার্কেটের সামনের এই অংশে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে এতে কিছু ইট বালি ফেলে যায়। কিন্তু তা' ক'দিন পরই আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু বলেন, সড়কটি দেশের একটি গুরুত্বপুর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দে গর্ত ও জলাবদ্ধতা হওয়ায় আমি ব্যক্তিগত এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মেরামত ও পাইপলাইন স্থাপন করেছি। আমাদের এমপি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনির সার্বিক সহযোগিতায় আশা করছি দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ হবে। মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মো: আতিক উল্ল্যাহ ভূইয়া বলেন, আজ ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট আমরা হরিনাঘাট-চান্দ্রা-ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা সড়কের নির্মাণ কাজ নিয়ে সভা শেষ করছি। শিক্ষা মন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি মহোদয়ের ডিও লিটারের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সড়কটির উন্নয়নে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই শেষে বরাদ্দ পেলে টেকসই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।