প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ২১:০৮
ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়ীকে মামলার আসামী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জুয়েল পাঠান নামক এক ব্যবসায়ীকে অন্যায় ভাবে মামলায় জড়িয়ে আসামী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুয়েল পাঠানের পক্ষে গাজিপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো: শহীদ আহম্মেদ ও তার পরিবারের সদস্যগন।
|আরো খবর
শনিবার ২৬ আগষ্ট দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব'র সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাও: মো: শহীদ আহম্মেদ। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের দ্বন্দ্ব হয়। দ্বন্দ্বের জেরে গাজীপুর গ্রামের ইদ্রিস পাঠান দুলালের ছেলে রায়হান ওরফে শাওন মাদ্রাসার দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাজেদুল হাসানকে বুকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে আহত সাজেদুল চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনী পদক্ষেপ নিতে গত ২৩ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একমাত্র আসামী শাওনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত চিঠি প্রদান করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: গিয়াস উদ্দিন। এ ঘটনায় সাংবাদিক গন সংবাদ সংগ্রহে ঘটনা স্হলে গেলে অনুসন্ধানে কেবল মাত্র শাওনের নামে অভিযোগ উঠে আসে এবং স্হানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। ইতিপূর্বে আহত সাজেদুলের ভাই রিয়াজ হাসান কর্তৃক ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলার এজহারে মো. জুয়েল পাঠান নামক অপর এক আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এতে এলাকার ক্রীড়ামোদী মানুষজন সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে আশাহত করেছে। এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তির শংকা সৃষ্টি করেছে।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরোও বলেন, জুয়েল পাঠান একজন ইট, বালি বিক্রি ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন জুয়েল পাঠান খেলার মাঠে উপস্হিত ছিলেন না। ঐ দিন তিনি দর্শকসারি কিংবা বাজারেও উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনাার সাথে জুয়েল পাঠানের নুন্যতম সম্পর্ক ছিলনা। শুধুমাত্র রাজণৈতিক ও সুনামহানি সহ হয়রানী করার উদ্দেশ্যে অন্যায় ভাবে জুয়েল পাঠানের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার স্বাক্ষী গন জুয়েল পাঠানকে মামলায় জড়িয়ে আসামী করায় বিশ্ময় প্রকাশ করেছেন। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবসায়ী মো: জুয়েল পাঠানকে এ অন্যায় মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহব্বান জানান মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মো: শহীদ আহম্মেদ ও জুয়েল পাঠানের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মো: জুয়েল পাঠানের পরিবারের সসদ্যগন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।