প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৩২
মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জের গাজীপুরে ফুটবল খেলার সময়কার বিরোধকে কেন্দ্র করে গাজীপুর আহ্মাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহষ্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর আহ্মাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনের মাধ্যমে দ্রুত অপরাধীদের আটক ও শাস্তি দাবী করা হয়।
|আরো খবর
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা অবিলম্বে অপরাধীদের আটক এবং শাস্তি দাবী করছি। একই সাথে ভবিষ্যতে কিশোরগ্যাংদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার দাবী করা হয়। এসময় মাদ্রাসা সুপার মাও. গিয়াস উদ্দিন, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য আ: ছাত্তার উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জনান।
এদিকে মানববন্ধন চলাকালে সংবাদপেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আ: মান্নান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় তিনি অপরাধীকে দ্রুত আটক করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২২আগস্ট) মাদ্রাসার গ্রীষ্মকালিন প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ফুটবল খেলার একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যদিও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টি সমাধান করেন। কিন্তু ওই ঘটনার জের ধরে ওই দিন সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী গাজীপুর বাজারে মাদ্রাসার দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী, সাজেদুল ইসলাম(১৭)কে কুপিয়ে আহত করে রায়হান ইসলাম শাওন এর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন সাজেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। সে গাজীপুর আহ্মাদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত সাজেদুল ইসলামের বড় ভাই রিয়াজুল হাসান।
এব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাঠেই মানববন্ধন করে। একপর্যায়ে তারা গাজীপুর বাজারের দিকে যেতে চাইলে পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের নিষেধ করি। পরে থানার ওসি এসে তাদের আশ্বস্থ করলে তারা ক্লাসে ফিরে যায়।