প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৭
কোরবানী বর্জ্র অপসারণে অংশ নিলেন মেয়র লিপন
হাজীগঞ্জ পৌরসভার টানা ২য়বারের মতো মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছেন আসম মাহবুব উল আলম লিপন। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ের মাঝে মাধ্যে অসাধ্যকে সাধন করে ফেলেন তিনি । যা নিয়ে পৌরবাসীরা হতবাগ হয়ে যান। অনেক পৌর নাগরিকরা বলেন, এটা কিভাবে সম্ভব? এমনই এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন কোরবানী পশুর বর্জ্র অপসারন করে। পশু জবাইয়ের পৌরসভা নির্ধারিত প্রতিটি কেন্দ্রে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বর্জ্র অপসারনে তদারকি করে মাত্র ১০ ঘন্টায় পুরো পৌরসভার সকল বর্জ্র অপসারণ করেছেন। প্রাতিটি কেন্দ্রেই মেয়র লিপনের সরব উপস্থিতি ছিলো বেশ লক্ষ্মণীয়।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কোরবানী ঈদের দিন ঈদের জামাত শেষে পৌরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন। এর পরেই তিনি কোরবানী পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানগুলো পরিদর্শনে নামেন। এ সময় তাঁর সাথে পৌরসভার ট্রাক, ভাড়া ট্রাক ও পৌরসভার নিজস্ব পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। পৌরসভার নিজস্ব ট্রাক ও ভাড়া ট্রাকে করে সন্ধ্যা ৬ টা মানে প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে পৌরসভার সকল বর্জ্র অপসারণ সম্পন্ন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে কোরবানী পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান রয়েছে ৪৩ টি। ওয়ার্ড ভিত্তিতে ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে পৌরবাসী কোরবানী পশু জবাই করে পশু বর্জ্র জবাইকৃত স্খানে রেখে দেন। সেই নির্ধারিত স্থান থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ ট্রাকে করে বর্জ্র তুলে নিয়ে আসেন। বর্জ অপসারনের সাথে সাথে উক্ত স্থান পানি দিয়ে ধৌত করে ব্লিসিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে জীবানুসক্ত করে দেয়া হয়। পৌরসভার নির্ধারিত স্থান ব্যতীরেখে কেউ পশু জবাই করতে পারবে না।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন জানান, পৌরবাসী সচেতন হওয়া আর আমাদেরকে সহযোগিতার কারনে মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যে কোরবানী পশুর বর্জ অপসারন করা সম্ভব হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় এ ধারা সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য মেয়র লিপন পৌর পরিষদে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে শত বছরের পুরনো বাড়ির জন্য নতুন রাস্তা নির্মান করে দেয়া, দুই বাড়ির মধ্যকার কয়েক পুরুষ ধরে লেগে থাকা বিরোধের মীমাংসা, সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সাথে কাজ করা, দিনের ময়লা দিনে অপসারন, নিজ হাতে ড্রেনের ময়লা পরিস্কার করা, পৌর সকল কাউন্সিলরদেরকে একত্রে গুছিয়ে রাখা, গরীর দুস্থ অসহায় শ্রেনীর মানুষকে জড়িয়ে ধরা, সসহযোগিতা করা, সেবা গ্রহীতাদের সকল কথা শুণে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়াসহ নানান বিষয়ের জটিল কাজগুলো দ্রুত সময়ে সমাধান করার কারনে ইতিমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন মেয়র লিপন।