প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২২, ১৯:২০
অবশেষে চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌরুটে রো রো ফেরি
অবশেষে চাঁদপুর শরিয়তপুর নৌরুটে একটি রো রো ফেরি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
|আরো খবর
৮ আগস্ট সকাল দশটায় ভাষাসৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা নামের রো রো ফেরিটি চাঁদপুর হরিণাঘাট থেকে চলাচল শুরু করে।এর আগে এ ঘাটের মসজিদ সংলগ্নস্থান দিয়ে রো রো ফেরির জন্য ঘাট স্থাপন করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিসির হরিণা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ফয়সাল আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, এই রো রো ফেরিটি সহ চাঁদপুর শরীয়তপুর রুটে এখন আটটি ফেরি চলাচল করছে। আগে ফেরির জন্য গাড়ি অপেক্ষা করতে হতো। এখন ঘাটে ফেরি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন,পদ্মা সেতু চালু হাওয়ায় খুলনা-বরিশালসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের অধিকাংশ জেলার গাড়ি পদ্মা সেতু পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এরমধ্যে শরিয়তপুরে অনেক জায়গার রাস্তা খারাপ।
ম্যানেজার বলেন,আগের তুলনায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটে গাড়ি আসা দুইতৃতীয়াংশ কমে গেছে । বিভিন্ন পরিবহনের দেড় থেকে দুই'শ বাস ফেরি পার হতো।এখন ৮/থেকে ১০টি বাস পারাপার হচ্ছে। এখন রো রো ফেরি দেওয়ায় ফেরি পার হওয়ার জন্য গাড়িকে তেমন অপেক্ষায় থাকতে হয় না।
উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীর উপর চাঁদপুর শরীয়তপুর ফেরি নৌ রুট ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। বিকল্প কোনো সড়কপথ না থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে ১০০-২০০ কিলোমিটার পথ পর্যন্ত বেশি অতিক্রম করতে হয়।
এ ২০ জেলার বাসিন্দাদের সড়কপথের দূরত্ব ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে প্রায় বাইশ বছর যাবত এই ফেরি সার্ভিস চলে আসছে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে।চাঁদপুর -শরিয়তপুর ফেরি সড়ক রুটে মেঘনা সেতু নির্মানের সম্ভবত যাচাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে।
এখন দেখার অপেক্ষা চাঁদপুর শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের ভবিষৎ কোন দিকে যায়।