মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:০৪

হাইমচরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

হাইমচর ব্যুরো
হাইমচরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  সমন্বয়ককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

হাইমচরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল সমন্বয়ক ও ৪ আগস্টের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী আহসান হাবিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে দশটার সময় হাইমচর সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত হাবীব দক্ষিণ আলগী গ্রামের আবু পাটওয়ারীর ছেলে আহসান হাবীব। সে হাইমচর সরকারি কলেজের ডিগ্রি ৩য় বর্ষের ছাত্র।

আহতের পরিবারের অভিযোগ, বিএনপি নেতা সরদার জলিল মাস্টারের ভাগিনা মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়। গুরুতর আহত আহসান হাবীবের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

হামলার ঘটনায় নুর মিয়া আখনের ছেলে সিয়াম হোসেনকে আটক করেছে হাইমচর থানা পুলিশ।

আহত আহসান হাবীবের মামা দুলাল পাটোয়ারী জানান, তার ভাগিনা আহসান হাবীব হাইমচর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন করেন। আন্দোলনে হাবিব গুরুতরভাবে আহত হয়। পরবর্তীতে নিজে বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলা করার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জলিল মাস্টার তাকে নিরাপরাধ মানুষকে মামলায় জড়ানোর জন্যে বলেন। সে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে মামলা তুলে নেয়ার জন্যেও হুমকি দেন। তার কথা না শোনার কারণে তিনি তার ভাগিনা মিরাজকে দিয়ে কয়েকবার তার ওপর হামলা করান। শেষ পর্যন্ত হাবিবকে হত্যা করার জন্যে পরিকল্পনা মাফিক কুপিয়ে জখম করে। আহসান হাবীব বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। হামলার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্যে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।

হাইমচর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম জানান, হাইমচর কলেজের সামনে আজ যে ঘটনাটি ঘটে গেলো তা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো। আমাদের কলেজে কখনো এমন জঘন্যতম হামলার ঘটনা ঘটেনি। আহত আহসান হাবীব ও হামলাকারী মিরাজ দুজনই এ কলেজের ছাত্র। আহসান হাবীবের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা আলমাস উদ্দিন আখনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মিরাজকে প্রাথমিক ভাবে অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় কলেজ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।

তিনি জানান, মিরাজ নামক এ ছেলেটি একাদশ শ্রেণীর ১ম বর্ষের ছাত্র। সে ইতিপূর্বে কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করে। তার কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারনামাও রাখে।

হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের ওপর হামলার ঘটনায় সিয়াম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়