প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ২২:১৫
অবৈধ দখলদারের কারণে বন্ধ রয়েছে বাবুরহাট জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ
স্বার্থান্বেশী অবৈধ দখলদার এর কারণে বন্ধ রয়েছে বাবুরহাট জেলা পরিষদ মার্কেটে নির্মাণ কাজ। ২০১৭ সালে বাবুরহাট বাজারে জেলা পরিষদের সম্পত্তিতে মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধিনিধিসহ লীজকৃত ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে জেলা পরিষদ কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু স্বার্থন্বেষী একটি মহল নিজেদের স্বার্থ লাভের জন্য, লীজকৃত ব্যবসায়ীদের নানা রকম মিথ্যা ভয়-ভীতি দেখিয়ে, জেলা পরিষদের মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ হাইকোর্টের মামলার জবাব দেন ও হাইকোর্ট জেলা পরিষদের জবাবের ভিত্তিতে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
|আরো খবর
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা পরিষদের আয় বাড়ানোর জন্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন সম্পত্তিতে মার্কেট নির্মাণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেই। তন্মধ্যে বাবুরহাট জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ কার্যক্রমও ছিল। তিনি আরো জানান বাবুরহাট বাজার মার্কেট নির্মাণের জন্য পূর্বে লীজকৃত ৭৭ জন ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে, তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে দোকান বরাদ্দের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল জেলা পরিষদের সম্পত্তি দখল করে নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছে। তারা চান না বাবুরহাট বাজারে জেলা পরিষদের মার্কেট নির্মাণ হোক। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি জানান জেলা প্রশাসক মহোদয় উচ্ছেদ কার্যক্রমের অনুমোদন করলেই, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ কার্যক্রম সচল হবে।
জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, বাবুরহাট বাজার মার্কেট নির্মাণের বর্তমানে কোনো আইনি বাধা নেই। ১০ জন ব্যবসায়ী দ্বারা দায়েরকৃত মামলাটি হাই কোর্টের চেম্বার জজ আদালত ইতোমধ্যেই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। এছাড়ারও জেলা পরিষদের সম্পত্তিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ বিষয়ে আবেদন করার ফলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অবৈধ দখলদারদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য আদেশ প্রদান করলেই উচ্ছেদের পর মার্কেট নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এছাড়াও তিনি জানান, মামলা দিয়ে জেলা পরিষদের মার্কেট র্নিমান কার্যক্রম স্থগিত করার ফলে, মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করার কারণে ও উক্ত সরকারি সম্পত্তি থেকে কোন আয় না থাকার কারনে আর্থিকভাবে জেলা পরিষদ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলমান ও স্থগিতাদেশ থাকার কথা জানানো হলেও, এবিষয়ে জেলা পরিষদ এমন কোন নোটিশ বা চিঠি পায়নি বলে জানা যায়।
বাবুরহাট জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মান প্রসঙ্গে সচেতন মহল ও সাধারণ জনগণ মনে করেন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে রাষ্ট্রের আয় হয় এমন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্ব। এ দায়িত্বে অবহেলা করলে রাষ্ট্রের সম্পত্তি ধীরে ধীরে অবৈধ দখলদারদের কুক্ষিগত হয়ে যাবে। ফলে অবৈধ দখলদাররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে ও রাষ্ট্রীয় আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় ঘটবে।