প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন, যারা এই শিল্পকলার সাথে জড়িত আছেন তারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। চাঁদপুরের একটা ঐতিহ্য আছে। কুমিল্লা বিভাগ হলেও চাঁদপুরের শিল্প সাহিত্যের একটা ঐতিহ্য থাকবে। গতকাল ২১ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে নবান্ন উৎসবের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের প্রাণ হচ্ছেন দর্শক। দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের পরিবেশনকারীরা অনুপ্রেরণা পান। আজকে যে মাত্রায় আমরা আশা করেছিলাম সে মাত্রায় অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বাংলার সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক হচ্ছে এই নবান্ন উৎসব। আমরা আস্তে আস্তে আধুনিক হচ্ছি, কিন্তু বাংলার ঐতিহ্য জেনো ভুলে না যাই।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সরোয়ার, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র স্টেশন কমান্ডার রবিউল আল আমিন, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ আয়াজ মাবুদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশীদ, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মৃনাল সরকার, শিল্পকলা একাডেমী সংগীত প্রশিক্ষক অনিতা নন্দী, নৃত্য প্রশিক্ষক সোমা দত্ত প্রমুখ।
উৎসবে সঞ্চালনায় ছিলেন স্বরলিপি নাট্য গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আর ইসলাম বাবু। সমবেত সংগীতের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। উৎসবে সকল দর্শকের অংশগ্রহণে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।