প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে

গত ১২ আগস্ট সোমবার চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় অ্যাডঃ নন্দীতা দেবনাথের ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করে মানহানিকর পোস্ট করার অভিযোগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচরে হয়েছে। সংবাদে আমার ছবি ও আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাই প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি বর্তমানে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি দোকানের কর্মচারী। বাংলাদেশী সময় বিকেল চারটা থেকে ভোররাত ছয়টা পর্যন্ত অর্থাৎ চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করতে হয়। তারপর রুমে এসে নিজে রান্না করে খাওয়ার পর বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ ঠিকমতো হয় না। নিজেই ফেসবুক দেখার সুযোগ হয় না। তাছাড়া অ্যাডঃ নন্দীতা দেবনাথ আমার মামাতো বোন। আমি কেনো তার ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করে তার মানহানি করবো? সংবাদে আমার ছবি ও আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এই বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সঠিক তদন্তের দাবি করছি।

অ্যাডঃ নন্দীতা দেবনাথের সাথে বর্তমানে আমার কিংবা আমার পরিবারের কারো সাথে কোনো বিরোধ নেই। প্রকৃত ঘটনা হলো : বিগত ২০২৩ সালে আমাদের বাড়িতে একটি আম গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে আমার মা তুলসী রাণীর সাথে আমার কাকীমা পূর্ণিমা রাণী দেবনাথের ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সে সময় পূর্ণিমা রাণী বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে একটি সিআর মামলা (নং-৩৬৫/২০২৩) দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ১৭ জুলাই অ্যাডঃ নন্দীতা দেবনাথ তার স্বামীসহ পূর্ণিমা রাণীর পক্ষ নিয়ে আমাদের বাড়িতে হাজির হয়ে আমার মায়ের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন এবং আমার মাকে মারধর করেন। আমার মা তুলসী রাণী ও কাকীমা পূর্ণিমা রাণী পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে বিগত ২২ জুলাই উভয় অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন, আমার মা তুলসী রাণী ও কাকীমা পূর্ণিমা রাণী দেবনাথ এবং অ্যাডঃ নন্দীতা দেবনাথ ও তার স্বামীর উপস্থিতিতে উভয়ের মানীত সালিসগণ একটি সালিস বৈঠক করতঃ উভয়ের মধ্যে চলমান বিরোধ ও পূর্ণিমা রাণী দেবনাথ কর্তৃক চাঁদপুর আদালতে দায়ের করা সিআর মামলা (নং-৩৬৫/২০২৩)টি আপোষনামা সম্পাদন পূর্বক মীমাংসা করে দেন। আপোষনামায় উভয় পক্ষের স্বাক্ষর, উভয়ের মানীত সালিসগণের স্বাক্ষর এবং অ্যাডঃ নন্দীতা দেবনাথের স্বাক্ষরও রয়েছে।

---সাগর চন্দ্র দেবনাথ অনিক

জিডি ১৫৬৩/২৪