সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

জানমাল ও ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় পাশে থাকার আহ্বান হেফাজত নেতৃবৃন্দের

স্টাফ রিপোর্টার ॥
জানমাল ও ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় পাশে থাকার আহ্বান হেফাজত নেতৃবৃন্দের

চাঁদপুরে সহিংসতা প্রতিরোধ, সংখ্যালঘুদের জানমাল ও ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষায় পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের নেতৃবৃন্দ। ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক মিছিল শেষে শহরের শপথ চত্বর বাইতুল আমিন জামে মসজিদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা এ আহ্বান জানান।

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জালিমদের শোষণ-নিপীড়ন যখন সকল মাত্রা অতিক্রম করে তখন স্বয়ং আল্লাহ কোনো না কোনো উছিলায় তাদের ধ্বংস করে দেয়। এদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সাধারণ মানুষের উপর নানাভাবে নির্যাতন করেছে। সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে দেশের আলেম সমাজের উপর। সর্বশেষ আমাদের ছাত্রসমাজ তাদের একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। কিন্তু স্বৈরাচার সরকার তাদের বুকেও গুলি চালিয়েছে। ফলে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের আপামর জনতা।

বক্তারা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে সকলের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আমাদের এই অর্জন যেন ম্লান না হয়ে যায়। কোনো অপশক্তি যেন এই সুযোগে সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে। দেশের সাধারণ মানুষ ও সংখ্যালঘুদের জানমাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা হিন্দু ভাইদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দেবো। আমরা সবাই এদেশে নাগরিক। আমরা সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে এই দেশে বসবাস করব।

হেফাজত ইসলামের নেতৃবৃন্দ বলেন, এ আন্দোলনে যে-সকল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে তাদের সকলকে শহিদ মুক্তিযোদ্ধার খেতাব দিতে হবে। যারা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারণ দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে ছাত্ররা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মনির, মাওলানা মোস্তফা, ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা সাইফুদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়