প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
শাহরাস্তির খামপাড় গ্রামে জলাবদ্ধতা
বাড়ি করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শাহরাস্তির খামপাড় গ্রামে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। বাড়ি করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চরমে। এদিকে এলজিইডির অর্থায়নে তৈরি ইট সলিংয়ের রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, পুকুরের পাড় ভেসে চাষের মাছ চলে গেছে এবং বাড়ি-ঘর ও বাগান বাড়িতে পানি উঠে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলার ১৭নং রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খামপাড় গ্রামে এ জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সরজমিনে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে কুয়েত প্রবাসী হাফেজ বিল্লাল হোসেন দু বছর পূর্বে উপজেলার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ সড়কের পাশে প্রায় দেড় একর ধানি জমি ক্রয় করেন। এ জমিতে তিনি প্রভাব খাটিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে গ্রামের পাঁচটি বাড়ির বর্ষার সময়ে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেড় একর সম্পত্তির উপর ঘের তৈরি করেন। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতে বাড়িগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও জনজীবন বিপন্ন হয়। তিনি ঘের তৈরির সময় পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করে দিবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করে সুকৌশলে ঘের তৈরির কাজটি সম্পন্ন করে নেন। তখন তার এমন দুরভিসন্ধি কেউ বুঝতে পারেনি। ঘের তৈরির পর গত বছর বর্ষার সময় দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় ছিলেন পাঁচ বাড়ির লোকজন। তিনি তার প্রতিশ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেননি, উপরন্তু তাকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বললে অটো চালক সহিদের সাথে উচ্চবাচ্য করেন এবং তাকে দেখে নিবেন বলে ধমক দেন। এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার সুমন উপজেলা পরিষদে মৌখিক অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। গত ২ আগস্ট একদিনের বৃষ্টিতে পাঁচটি বাড়িতে ঢোকার রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে, পুকুরের পাড় ভেসে চাষের মাছ বের হয়ে গেছে, বাড়ির বাগানে পানি ঢুকেছে। সড়কের উল্টো দিকে ঘেরের বাহির সাইডের জমিতে তেমন পানি জমা নেই।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আগস্ট মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। যদি বাড়িগুলোর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া না হয়, তাহলে বাড়িগুলোর জনগণের অনেক দুর্ভোগ বাড়বে এবং এলজিইডির সলিং করা রাস্তাগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাড়িগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি রাস্তা রক্ষায় জনস্বার্থে প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছে ওই গ্রামের সচেতন মহল।