প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
পথ রোধ করে হাতি দিয়ে মাহুতের চাঁদাবাজি
রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুত। মাহুতের নির্দেশেই শুঁড় দিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের গতি রোধ এবং দোকানীদের কাছে শুঁড় সোজা করে এগিয়ে দিচ্ছে হাতি। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে যানবাহন চালক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেখা মেলে এমন চিত্র। খবর পেয়ে ৩১ জুলাই বুধবার সকালে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ কাছিয়াড়া গ্রামের আল মদিনা হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য।
দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে টার্গেটের ধরণ বুঝে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে চাঁদা। সড়কের পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় মাহুতের।
কাছিয়াড়া এলাকায় মহাসড়কে জামাল হোসেন নামের এক পথচারীর কাছে হাতি যেয়ে শুঁড় এগিয়ে দিল। ওই পথচারী ১০ টাকা দিতে চাইলে মাহুতের নির্দেশে নেয়নি হাতি। পরে ৩০ টাকা দিয়ে পার পেয়েছেন তিনি।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে শুঁড় এগিয়ে দিল হাতি। অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম মিয়া ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। টাকা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই অটোরিকশা চালক বলেন, টাকা না দিলে যাবে না। এছাড়া দেরি হলে অনেক সময় শুঁড় দিয়ে গাড়ি ধাক্কা মারে। এ জন্যে ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম।
হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুতের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
ফরিদগঞ্জ থানার ডিউটিরত কর্মকর্তা এএসআই এরশাদ বলেন, হাতি ব্যবহার করে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ওই মাহুতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এআরএম জাহিদ হাসান বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে সড়কে চাঁদাবাজি করা উচিত নয়। এই মাহুতকে সতর্ক করেছি হাতি নিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে। কাজ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।