শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারকে খোলা চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারকে খোলা চিঠি

জনাব,

মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যার! আস্সালামু আলাইকুম। জনাব আপনি ৫ বার চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আপনি সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাসহ অনেক বড় বড় গুরুদায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। তাই আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

স্যার আমি মোঃ কাজী কামাল হোসেন, পিতা মৃত আইয়ুব আলী, গ্রাম : আজাগরা, শাহরাস্তি, চাঁদপুর। স্যার ১৯৯৬ সালে গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন-পরবর্তী ১৯৯৬ সালে আপনার পক্ষে নির্বাচন করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি ছাত্রলীগ করতাম। আপনি আমাকে চিনতেন-জানতেন। আমি ১৯৯৮ সালে কাজের জন্যে কাতারে চলে যাই। আমি নিজেই একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিই এবং কাতার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবে জামাত ও হেফাজতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি। ২৩টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া ২৭ মিনিট আমার বক্তব্য সরাসরি (লাইভ) প্রচার করে এবং প্রিন্ট মিডিয়া আমার ছবি সম্বলিত বক্তব্য তুলে ধরে। বাংলাভিশন আমার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে এবং তাদের প্রচারে আমার সাক্ষাৎকার সরাসরি সারা বাংলাদেশে দেখায়। জনাব স্যার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সুফলা, শস্য, শ্যামলা একটি বাংলাদেশ উপহার দেন। আপনি সফল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করে মুক্তি আন্দোলনের সফল যোদ্ধা হিসেবে আপনাকে সালাম, সালাম।

স্যার! আমরা ৩ ভাই- (১) কাজী গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রামে কর্মরত, (২) বেলায়েত হোসেন মিলন, বর্তমানে দেশে আছেন, কৃষি ও ক্ষেত-খামারির কাজ করেন ও (৩) আমি কাজী মোঃ কামাল হোসেন। আমাদের কোনো বোন নাই। আমার বড়োভাই যে সম্পত্তির মালিক আমরা ৩ জনই সেই সম্পত্তির মালিক, যা সমানভাগে বণ্টক আছে। স্যার আমি বিদেশে থাকাকালে প্রথম স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে, যার সত্যতা পাই। পারিবারিকভাবে সবাই তাকে তালাক প্রদানের জন্যে আমাকে সম্মতি দেয়। আমি চাঁদপুর কোর্টে এসে রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক ও ইসলামিক আইন মোতাবেক তাকে তালাক প্রদান করি। সে আমার ১৭ ভরি স্বর্ণ ও প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। তার প্রেমিক জসিম উদ্দিন (কিরণ) তাকে সহযোগিতা করে এবং আমার মেজোভাই বেলায়েত হোসেন মিলন আমার পুরো বাড়িটা দখল করে খাচ্ছে। পুকুরের মাছ, গাছ এবং যাবতীয় ফলফলাদি সে আত্মসাৎ করছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ রোজ রোববার সকাল ৯:২৫ মিনিটে আমার মা ইন্তেকাল করেন। মা অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা থেকে আমি ঘন ঘন বাড়িতে আসি। মা মৃত্যুর আগে বাড়িতে দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করি। মোনাজাতের পূর্ব মুহূর্তে আমার মামাতো ভাই এসে বলে, পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করার জন্যে দুদিক থেকেই এসেছে। আমি পালিয়ে যেতে সক্ষম হই এবং আমার স্ত্রী ছখিনা (লাবণী)কে গ্রেফতার করে। আমি আইন কোনো সময়ের জন্যেই হাতে নিইনি এবং আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আমি বাড়িতে আসিনি। মহান আল্লাহর কসম খেয়ে বলি, আমি তাকে কোনো মারধর করিনি, কিন্তু আমার নামে তালাক দেওয়ার ৩ মাস পরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করে রাখে। যা আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে জানতে পারি। যথারীতি আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা জামিন লাভ করি। আমার বড়োভাই, আমি আমার মেজোভাইসহ বাড়ির জায়গা বণ্টক নিয়ে বসতে চেয়েছি। আমার মেজোভাই বসতে চান না। যখনই বাড়িতে যাই, তিনি দা, ছেনি, কুড়াল, লাঠি নিয়ে আমাকে আঘাত করতে আসে। পাড়া-প্রতিবেশীরা আমাকে আমার বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে শান্ত করে ফিরিয়ে দেয়। আমার আত্মীয়স্বজন নিয়ে গত ২৬ মে ২০২৪ একটি দরবারে বসি। রায় যখন আমার পক্ষে এসেছে, আমার মেজোভাই বেলায়েত হোসেন মিলন নাজমার প্রেমিকা জসিম উদ্দিন কিরণ ও নাজমা বেগম, ফাহামিদা ইসলাম তানিয়া কিছু না বোঝার আগে আমাকে কিল, ঘুষি মেরে আঘাত করে। আমার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে সিএনজি অটোরিকশা করে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমি চিকিৎসা শেষে দেশে না যেতে পেরে মোকাম বিজ্ঞ শাহরাস্তি আমলী আদালত, চাঁদপুর সি.আর- ১৭৪/২০২৪ খ্রিঃ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত তদন্ত করার জন্যে ডিবিকে প্রদান করে। আমার আই. ও. আমেনা বেগম আমাকে ফোন করলে আমি আমার সাক্ষীসহ হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করি এবং ডিবি পুলিশের আমেনা বেগম সরজমিনে গিয়ে ১০০% সত্যতা পায়। শাহরাস্তি থানার ওসি আলমগীর হোসেন আপনার নাম ব্যবহার করে আমার সামনেই আমেনাকে হুমকি প্রদান করেন এবং ওনার চাকুরি থাকবে না বলে হুমকি দেন। ডিবির অফিসার ইনচার্জ শাহরাস্তি থানার ওসি, আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আনোয়ার এবং আমাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান মানিক রাতে ডিবি অফিসে এসে আপনার নির্দেশ পালনের জন্যে বলেন। তারা আমার মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যে এবং স্থগিত করার জন্যে আপনার নাম ব্যবহার করেন। একটি সভ্য রাষ্ট্রে আমি স্বাধীনতার পক্ষের লোক হিসেবে আমার বাড়িতে উঠতে পারছি না। শাহরাস্তির থানার কয়েকজন পুলিশ এবং কিছু পাতি নেতা আমাকে হুমকি দিচ্ছে, যে কোনো মুহূর্তে তারা আমাকে খুন এবং গুম করতে পারে।

মাননীয় এমপি স্যার, আমার ভিটেমাটি পাওয়ার জন্যে এবং দেশে যাওয়ার জন্যে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আমার জানমালের ক্ষতি করার আগেই আপনার কাছে প্রাণভিক্ষা চাচ্ছি। আমি বর্তমানে ডায়াবেটিসের রোগী। হাই প্রেসার ও কিডনী রোগে ভুগছি। আমার পক্ষে নুসাইবা নিপা এবং মাজাহারুল ইসলাম মিসরকে তাদের ৬ শতক জায়গায় ঘর করার তৌফিক আমার নাই। তাই আমার তৈরিকৃত ঘরে আমি একাংশে এবং তাদেরকে থাকতে বলি। তারা সেটা কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছে না। তারা আপনার নাম ব্যবহার করে শাহরাস্তির ওসি ও জুলফিকার আনোয়ারের নাম এবং কুখ্যাত মানিক চেয়ারম্যানসহ ও আমার বিবাদীগণ আমার মামলাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার ১ম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমার বসতবাড়িতে আছে। তাকে কোনো ক্রমেই বাড়ি থেকে চলে যেতে বললেও সে কর্ণপাত করে না। আমার নামে ৪ শতক জায়গা আমি আমার ছোট ছেলেকে প্রদান করি। আমার বড়ো ছেলেকে আমার মা আমার সাথে আলোচনা করে ৬ শতক জায়গা মাজাহারুল ইসলাম মিসরকে দেন। আমার বড়োভাইয়ের ছেলেকে ৩ শতক দেন। মেজোভাইয়ের ছেলেকে ৩ শতক দেন। আমার ছেলেকে ৬ শতক দেন। আমার নামে আরো ৩ শতক জায়গা বাড়িতে আছে। তারা কেনো আমাকে বাড়িতে উঠতে দিতেছে না। তাদের সবার এক কথা, মেজর রফিকুল ইসলাম এমপি আমাকে জায়গা এবং বাড়ি দিয়েছে। সেই কারণেই আমি থাকতেছি। আমার নামে দলিল এবং খারিজ করা জায়গায় কীভাবে আপনি তাহাদেরকে অনুমতি প্রদান করেছেন আমি জানি না। কথাটি মিথ্যাও হতে পারে।

মাননীয় এমপি স্যার, আমার ভিটাতে আমাকে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। আপনি পারবেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি একজন ফ্রিডম ফাইটার। বাংলার মানুষ এখনও আপনার নাম স্মরণ করে। ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ যেই বইটি লিখেছেন তা বাঙালি জাতির কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

পরিশেষে আপনার দীঘায়ু কামনা করে আপনাকে ছালাম জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি। আবারও আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তারিখ : ০৫/০৭/২০২৪ খ্রিঃ

নিবেদক

কামাল হোসেন

সাং : আজাগরা, পোঃ উয়ারুক

থানা : শাহরাস্তি, জেলা : চাঁদপুর।

মোবাইল : ০১৮৯৭৩৭৬২৩৬

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়