শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে পুকুরে ধসে যাচ্ছে এলজিইডির সড়ক
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় এলজিইডির পাকা সড়ক (পথ) পুকুরে ধসে পড়ে যাচ্ছে। সরকারি বিধি না মেনে সড়ক ঘেঁষে ব্যক্তি মালিকানার পুকুর খনন করায় সড়কের এ ক্ষতি হচ্ছে। সড়কের ক্ষতিতে সুষ্ঠু ও সহজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

সড়ক রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মাণে অনেক পুকুর মালিক বাধা দিচ্ছে বলে জানা যায়। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি থেকে গত ক’বছরে অনেক গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ হয়েছে। নতুন উদ্যোগে আরও কাঁচা সড়ক পাকাকরণ হচ্ছে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলো পাকাকরণ হবে বলে জানা যায়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এলজিইডির সড়ক ঘেঁষে বহু সংখ্যক পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ৩নং সুবিদপুর, ১নং বালিথুবা, ৫নং গুপ্টিসহ বেশ ক’টি ইউনিয়নে সড়ক ঘেঁষে বেশি সংখ্যক পুকুর আছে। সড়ক পথ ঘেঁষে প্রতি বছরই একের পর এক নতুন পুকুর খনন করা হচ্ছে। সরকারি বিধি-নিষেধ না মেনে ব্যক্তি মালিকানার পুকুরগুলো খনন করা হয়েছে এবং খনন করা হচ্ছে আরো নতুন পুকুর। মাছ চাষে খনন করা প্রায় সব পুকুরই গভীর করে খনন করা হচ্ছে।

এলজিইডি সূত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬-এর ধারা ২৮ মোতাবেক নিজ ভূমির কমপক্ষে ১০ ফুট অভ্যন্তরে পুকুর বা জলাশয় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে অর্থাৎ সরকারি সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট দূরত্বে (জায়গা রেখে) পুকুর কিংবা জলাশয় খনন করতে হবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপরে উল্লেখিত ইউনিয়নগুলোসহ আরো অনেক ইউনিয়নে বড় পাকা সড়ক ঘেঁষে বহু সংখ্যক পুকুর রয়েছে। এছাড়া অত্র উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি খাল ও নদীর কিনার ঘেঁষে অসংখ্য পাকা সড়ক থাকায় এসব সড়কের অনেক জায়গা পুকুরে ধসে গেছে। ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের টুবগি সড়ক, ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর সড়ক, কামতা-হাজীগঞ্জ সড়ক, গাজীপুর থেকে কড়ৈতলী বাজার হয়ে চৌরঙ্গী বাজার হয়ে আষ্টা সড়কসহ ফরিদগঞ্জের অসংখ্য সড়ক গত ক’মাস আগে মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু এই সড়কগুলো ঘেঁষে পুকুর এবং খাল থাকার কারণে এরই মধ্যে সড়ক ধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এএসএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, পুকুরের গভীরতার ধরণ বুঝে বিধি মোতাবেক সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ৫ ফুট, ক্ষেত্রবিশেষে কম-বেশ জায়গা রেখে তবেই পুকুর খনন করতে হবে। এতে সড়কের স্থায়িত্ব ও গুণগত মান বজায় থাকে। সেখানে পুকুরগুলো সড়ক ঘেঁষে কাটা এবং চালা হিসেবে সরকারি সড়ক পথ ব্যবহার করায় ক্ষতি হচ্ছে সড়কের। সে কারণে সড়ক টিকছে না।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত ও রক্ষায় গাইডওয়াল নির্মাণে সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অনেক জায়গায় গাইডওয়াল নির্মাণ করতে গেলে পুকুর মালিকেরা বাধা দিচ্ছে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়