রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়

অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকের একাধিক অনিয়ম

প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকের একাধিক অনিয়ম

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে অবস্থিত গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানাবিধ নেতিবাচক কথার গুঞ্জন। নিয়মনীতি পরিপন্থী পরিচালনাই যেন তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। এমনটাই বলছেন সচেতন শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সভাপতি হুমায়ুন পাটওয়ারীকে ম্যানেজ করে সকল ধরনের অনিয়ম করে চলছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ।

ইদানীংকালে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনকে ঘিরে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন দুলাল খান নামক একজন অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে বিদ্যালয়টির নির্বাচন হওয়ার কথা এবং ইতঃমধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটার তালিকায় ভোটার নং ৩৭ মোঃ ইলিয়াছ রাড়ী, তার ছেলে আঃ রহমান, রোল নং ৩৭, শ্রেণি-৬ষ্ঠ। আঃ রহমান বর্তমানে দারুল উলুম রশিদিয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। জন্ম সনদ দিয়ে ৫ম শ্রেণির সনদবিহীন ভর্তি করানো হয়। আঃ রহমান কখনও গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস করেনি বা কখনও বিদ্যালয়ে আসেনি এবং আঃ রহমান কখনও কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েনি। মোঃ ইলিয়াছ রাড়ী বর্তমানে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য। ভোটার নং ৯৫ মোহাম্মদ মাসুদ, তার ছেলে মোঃ ইরফান শারাফ খান, রোল নং ৯৫, শ্রেণি-৬ষ্ঠ। জন্ম তারিখ ২০/০৭/২০১৫। মোহাম্মদ মাসুদ উত্তর চররাঘবরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত একজন শিক্ষক। তিনি ওই বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সাড়ে ৮ বছরে ৫ম শ্রেণি পাস সনদ এনে জমা দিয়ে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তার ছেলেকে ভর্তি করান। মোহাম্মদ মাসুদ বর্তমানে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য। মোঃ ইরফান শারাফ খান বর্তমানে পুরাণ রামপুর আঃ রব আলিম মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষক পুনরায় পুরাতন সকল সদস্যকে নির্বাচিত করবে এবং কমিটি গঠন করবে ঘোষণা দেওয়ায় ইলিয়াস রাড়ী ও মাসুদ খান

আবারও অবৈধ ভাবে নির্বাচন করার জন্যে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় সংযুক্ত হন। এমন অভিযোগে অভিভাবক সদস্য প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন দুলাল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিকট তদন্তপূর্বক ওই সদস্যদের ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্যে বিনীত আবেদন জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। বিদ্যালয়ের সভাপতি হুমায়ুন পাটওয়ারীর কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীকে মানহানি মামলার হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও নির্বাচনকেন্দ্রিক এ সকল অভিযোগের কোনো ভিত্তিই নেই বলে মন্তব্য তার।

নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন অফিসার লোকমান হেকিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, একটি নির্বাচন করতে ৩৮ দিনের মতো সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাত্র ১০-১৫ দিন পূর্বে নির্বাচনের জন্যে আবেদন করেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা একেবারেই অসম্ভব। এর প্রেক্ষিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রধান শিক্ষককে শোকজ করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনকে আমি ডেকে পাঠিয়েছি এবং নির্বাচনকে ঘিরে আপত্তিকর পরিস্থিতি তৈরি না করতে বারণ করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলী মণ্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনিয়ম করে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমেই হবে। যে বা যারা কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়