প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
নান্দনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মৈশাদী সপ্রাবি অনুকরণীয় হতে পারে
---------উপজেলা শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান
শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথিসহ সুধীজনদের ব্যাপক উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজহার উদ্দিন পাটোয়ারী। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত কর।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মৈশাদী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ের পিটিএ সভাপতি মোঃ আজাদ খান, সমাজসেবক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, মৈশাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির উদ্দিন বিদ্যুৎ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ তারেক খান, মৈশাদী ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অঞ্জন দত্তসহ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ। এলাকার বিশিষ্টজনদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফরিদ খান, বাচ্চু বেপারী, মাজেদ খান, শাখাওয়াত হোসেন, তপন, নজরুল ইসলাম বেপারী, ইউপি সদস্য খোকনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
৬ মার্চ বুধবার বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান বিদ্যালয়ের নান্দনিক সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, নান্দনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যে অনুকরণীয় হতে পারে। কোমলমতি শিশুদের সুশিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহ দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা শিশুদের জানাতে হবে। আমাদের সন্তানরা যাতে কোনোক্রমেই বিপথগামী না হয় সেজন্যে অভিভাবকসহ, শিক্ষক ও সুধীজনকে নজর রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ওদের সুন্দর জীবন গড়ার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এই বিদ্যালয়ের সুনাম দিন দিন বেড়েই চলছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ বছরও প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও অর্জন ছিলো লক্ষ্যণীয়। বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি অর্জন করে। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জিত করের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।