কথায় বলে, পৃথিবীতে সবচাইতে ভারী বোঝা হচ্ছে পিতার ঘাড়ে পুত্রের লাশ! রূপক অর্থে বলা বাক্য, যার অন্তর্নিহিত অর্থ এই যে, পিতা-মাতার জন্যে সন্তান হারাবার চাইতে বড় কষ্ট আর কিছু হতে পারে না। মৃত্যু জগতের সবচাইতে নিশ্চিত ব্যাপার। মৃত্যু আসবেই, ঠেকানো যাবে না কোনো কিছুতেই। পৃথিবীর কোনো জীবিত প্রাণীর সাধ্য নেই মৃত্যুকে এড়িয়ে যাবার। জন্ম নিলে একটা না একটা সময় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবেই- সৃষ্টিকর্তার অবধারিত নিয়ম! তবুও কোনো বাবা-মা সন্তানের মৃত্যু ভাবনাকে মনে স্থান দেন না, কখনো চিন্তাও করেন না--এই একটি ব্যাপার নিয়ে। কিন্তু সন্তানেরা পৃথিবীতে না থাকলেও বাবা-মায়ের চোখের সামনে থেকে হারায় না, আমাদের ঘর-জীবন আলোকিত করে রাখা প্রজাপতিরা জীবনের কোনো এক নিষ্ঠুর পরিহাসে সব ছেড়ে চলে যায় মৃত্যুলোকের ওপারে। চলে যায় আপনজনদের শোকের অন্ধকারে হারিয়ে রেখে। তেমনিভাবে ২০২০ সালে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে বাবা-মা, এক ভাই ও ১ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব রেখে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে আমার ঘর আলোকিত করে আসা মেধাবী পুত্র মোঃ এমরান হোসেন পাবেল। কথাগুলো ফরিদগঞ্জের সংবাদপত্র এজেন্ট ম্যাগাজিন হাউজের পরিচালক মাওলানা তাজুল ইসলামের।

আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পাবেলের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। চরমান্দারী শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও সবশেষে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পড়ুয়া এমরান হোসেন পাবেল শিক্ষাজীবনের সবগুলো ধাপ পার করেছে মেধার স্বাক্ষর রেখে। তার অধ্যয়নরত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীরা সবাই যেমনিভাবে পাবেলের পড়ালেখার প্রশংসা করতেন, তেমনিভাবে সবার আদর-স্নেহ আর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা পরিবারের বড় ছেলে এমরান হোসেন পাবেলকে নিয়ে দু চোখ বরা স্বপ্ন ছিলো পিতার। এমরান হোসেন পাবেল আরো অনেক বড় হবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরবে--এটাই ছিলো পিতার স্বপ্ন। সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের সবাইকে বিদায় জানিয়ে এমরান হোসেন পাবেল আজ পরপারে। আল্লাহ মহান আমার এমরান হোসেন পাবেলকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন।

সকলের কাছে এমরান হোসেন পাবেলের জন্যে দোয়া কামনা করেছেন তার পিতা মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম।