প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি কোপানো ও ভাংচুর করেছে আরমান-ফাহিম নামের দুই কিশোরের নেতৃত্বাধীন গ্যাং। গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভাটিরগাঁও গ্রামের মোল্লা বাড়িতে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে বাবুল মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবুল মোল্লার ভাতিজা হাবীব মোল্লার সাথে কথা কাটাকাটি হয় আরমানের। এ সময় আরমান ও তার বন্ধু ফাহিম মিলে হাবিবকে মারধর করে। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর বাবুল পাটওয়ারী পর্যন্ত গড়ালে তিনি বিষয়টি মীমাংসার জন্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। এক পর্যায়ে কাউন্সিলরের সামনেই সংঘর্ষে জড়ায় উভয় গ্রুপ। এটিকে কেন্দ্র করেই গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নির্বিচারে বাবুল মোল্লা, রাজু মোল্লা, জসিম মোল্লা, রহিমা বেগম ও মাহবুব বেপারীর বসতঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে ত্রাসের সৃষ্টি করে আরমান ও ফাহিমের নেতৃত্বাধীন গ্যাং। এ সময় বাবুল মোল্লার পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান বাবুল মোল্লা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর বাবুল পাটওয়ারী জানান, আমার ছেলেকে ওরা পিটিয়েছে। যার জন্যে প্রতিকার চেয়ে আমি থানায় মামলা করেছি। প্রতিপক্ষের বসতঘর ও পাক ঘরের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, পাকঘরের টিন ছিলো নরম। এগুলো তারা হাত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। রাতের বেলায় কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী যদি থানায় মামলা করে, তাহলে আমরা সেটা আমলে নিয়ে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় আছি। আপনারা বিষয়টি নবাগত ওসিকে জানান। কিশোররা দিন দিন নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। কোনো অবস্থাতে কিশোর গ্যাংকে ছাড় দেয়া যাবে না।