প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুরে মা পাখি বেগম (২৭) ও প্রতিবন্ধী মেয়ে মাহি (১২)কে ভেকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ের উপর ভেকু উঠিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মা ও মেয়ের শরীরের কয়েকটি হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনা চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার বিষয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে আহত নারীর স্বামী মোঃ আলাউদ্দিন বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মোঃ ছোটন বেপারীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৮।
ঘটনাটি ঘটেছে ৪ জুন সোমবার সকালে পূর্ব রঘুনাথপুর ঢালীরঘাট এলাকায়। ঘটনা শুনে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলমের নির্দেশে এসআই আঃ সামাদ ঘটনাস্থল থেকে ভেকুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।
আহত পাখি বেগম ঢালীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের স্ত্রী। ভেকুর চাপায় পাখি বেগমের পা থেকে বুক পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থেতলানো ও হাড় ভেঙ্গে যায়। তার মেয়ে প্রতিবন্ধী মাহি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। বর্তমানে পাখি বেগম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিজেদের বাড়ির কাছে লাগানো পেঁপে গাছ কেটে ফেললে পাখি বেগম তা জিজ্ঞেস করায় পাশর্^বর্তী বালু ব্যবসায়ী ছোটন বেপারী ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ি নাছিমা বেগমকে কিলঘুষি মেরে জখম করে। পরে বালু মহলে থাকা ভেকু দিয়ে বসতঘরের পেছনে পাখি বেগম ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপা দেয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভেকুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।