ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টাকারী বখাটেকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক সপ্তাহ পালিয়ে বেড়ানোর পর বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ফরিদগঞ্জ আমলি আদালতে প্রধান অভিযুক্ত রায়হান ইসলাম শাওন (২০) আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে। পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারে গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত গাজীপুর আহম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র হাফেজ সাজেদুল ইসলাম বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সাজেদুলের ভাই ঘাতক শাওন ও জুয়েল পাঠানকে আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলায় দায়ের (মামলা নং ২৭) করেন।

জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন ফুটবল খেলার প্রস্তুতি ম্যাচ ও খেলোয়াড় যাচাই-বাছাই করতে মাদ্রাসার শিক্ষকরা দশম ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঠে নামায়। খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পর বখাটে শাওন মাঠে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর ফুটবলটি বখাটে শাওনের কাছে গেলে সে বলটি নিয়ে খেলতে থাকে। এ সময় ছাত্ররা তার কাছে বল চাইলে ছাত্রদের সাথে অশোভন আচরণ করে। এর মধ্যে সাজেদুল তার কাছ থেকে বলটি নিয়ে গেলে শাওন তাকে বেদম মারধর করে। ঘটনাটি শিক্ষকরা শুনে ছাত্রদের মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। মাদ্রাসার শিক্ষকরা ঘটনা সামাল দিতে দুই পরিবারকে ডাকে। সাজেদুল ইসলামের পরিবারের লোকজন গিয়ে সাজেদুলকে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে গাজীপুর বাজারে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ঘাতক শাওন।

একই দিনে সাজেদুলের ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ অভিযুক্ত শাওনকে আটক করতে পারেনি। সাতদিন পর বখাটে শাওন নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে।