প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, পানি নিষ্কাশন, নৌযান চলাচল ও মশার বংশবিস্তার রোধে কচুয়ায় সুন্দরী খালের কচুরিপানা অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোঁয়া এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, সুন্দরী খালের পাশাপাশি কচুয়ার অন্যান্য খালের কচুরিপানা অপসারণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল খালের কচুরিপানা অপসারণ করে খালের পানির প্রবাহমান ফিরে আসবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান শিশির জানান, সুন্দরী খালকে নান্দনিক সাজে সজ্জিত করার লক্ষ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। এই খালটির সাথে ছোট-বড় অনেকগুলো শাখা খাল সংযুক্ত রয়েছে। সুন্দরী খাল আমাদের কচুয়া উপজেলার ঐতিহাসিক খাল। বক্সগঞ্জ থেকে চারটভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সুন্দরী খালের অংশ কচুরিপানা অপসারণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। খালে আটকে যাওয়া কচুরিপানা পচে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী, মশার বংশবিস্তার, দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি না হওয়ায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আলমগীর তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান, শাহজালাল সিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাসার শিকদার, যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন, রোবেল হোসেন, ডালিম, মাইকেল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসাইন, সুমন গাজীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী অপসারণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।