মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

সম্পত্তি রক্ষা নিয়ে জামাই ও শ্বশুর পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছেই
নিজস্ব সংবাদদাতা ॥

শ্বশুর বাড়িতে ক্রয় করা সম্পত্তিতে টিনশেড আধাপাকা বসত ঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন মাওলানা আনোয়ার উল্লা। এরই মধ্যে সম্পত্তি ভোগদখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা আনোয়ারের সাথে তারই শ্বশুর পক্ষের নূরুল ইসলাম কাজী গংয়ের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছাড়াও একাধিক বৈঠক হলেও সঠিক কোনো সুরাহা না হওয়ায় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করতে দেখা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জের কাছিয়াড়া গ্রামে।

এদিকে একই বাড়ির তৃতীয় পক্ষের মধ্যে সম্পত্তির ভোগ দখলকে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালতে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মাওলানা আনোয়ার উল্লা ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মাওলানা আনোয়ারের শ্বশুর পক্ষের লোকজন বলছেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে উচ্চ আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি হলেই আমরা উভর পক্ষ বৈঠকে বসে মীমাংসা করার দাবি করি। মাওলানা আনোয়ার তা না মেনে উল্টো পথে হাঁটায় বিষয়টি আরো জটিল করা হচ্ছে বলে মনে করছেন ওই বাড়ির লোকজন।

এ নিয়ে মাওলানা আনোয়ার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের কাছে একটি অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিসদার কর্তৃক দাখিলকৃত স্থানীয় প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার পর মেয়র যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী তার এক আদেশে উল্লেখ করেন যে, মাওলানা আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ বছর পূর্বে ২৯১নং ফরিদগঞ্জ মৌজার সাবেক ৮৯০নং দাগ, ৩০৭৭ দলিল মূলে তিন শতক জায়গা ক্রয় করেন। কিন্তু বিএস খতিয়ানে ২ শতক জায়গা লিপিবদ্ধ হয় বলে পৌর মেয়র এক আদেশে রায় দেন। আদেশে তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, সওজের নকশা মতে যেভাবে আছে বাদী আনোয়ার উল্লাহকে তা ভোগ দখলের জন্যে বলা হইল। অবশিষ্ট অংশ বিবাদীগণ তাদের পারিবারিক মামলা নিষ্পত্তি শেষে বাদী আনোয়ার উল্লাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হইল।

এ নিয়ে ফরিদগঞ্জ ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী ফরিদুল ইসলাম পাটওয়ারী তার এক তদন্ত রিপোর্টে বলেন, মাওলানা আনোয়ার ও নূরুল ইসলাম গং অবৈধভাবে উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। ওই সম্পত্তিতে সড়ক ও জনপথের স্বার্থ জড়িত বলে স্থানীয় ভূমি অফিসার তার তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।

মাওলানা আনোয়ার উল্লা বলেন, আমার অভিযোগ পেয়ে একাধিক সালিস বৈঠক ও মাপজোখ শেষে ফরিদগঞ্জের মেয়র মহোদয় যে রায় দিয়েছেন সেই রায় আমার প্রতিপক্ষরা না মেনে আমাকে এখন অহেতুক হয়রানি করছে।

এ ব্যাপারে আনোয়ারের বিরোধী পক্ষের রফিক ও সুমন জানান, আমাদের সম্পত্তি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে উচ্চ আদালতে চলমান মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় কোনো সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে উচ্চ আদালতকে অবমাননা করার মতো ধৃষ্টতা দেখানোর কোনো সাহস আমদের নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়