প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
গত ২৩ জুলাই ২০২৩খ্রিঃ রোববার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠার ৪ ও ৫ কলামে প্রকাশিত ‘শত বছরেও মিটেনি সম্পত্তির বিরোধ ॥ আশিকাটিতে রাস্তায় বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ’ শিরোনামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাই মিথ্যা তথ্যের সংবাদের প্রতিবাদ ও সত্য ঘটনা নি¤েœ উল্লেখ করছি :-
উল্লেখিত সংবাদ প্রতিবেদনে খান বাড়ির মৃত আদম খানের পুত্র মোস্তফা খান গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ একই বাড়ির মৃত মান্নান খানের পুত্র আইয়ুব খান, সোহাগ খান ও কন্যা হেনা আক্তারের ভূমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে বলে সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক এবং সামাজিকভাবে আমাদের পরিবারকে হেয় ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার সামিল। বরং আমাদের পৈত্রিক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে ভূমিলোভী গং।
আমাদের পিতা মরহুম মান্নান খান তার জীবদ্দশায় নিজ বাড়িসহ আশপাশের মানুষের উপকার ছাড়া কোনোদিন সামাজবিরোধী কোনো কাজ করে যাননি। তিনি বরং আমাদের ভাই-বোনদেরকে সামাজিক দায়বদ্ধতা শিখিয়ে গেছেন। আমাদের পিতা মরহুম মান্নান খান স্বাধীনতার জন্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মুক্তি সংগ্রামী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও আদেশে দক্ষ সংগঠক হিসেবে দেশের জন্যে কাজ করেছেন। তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সংগঠনের জন্যে নিবেদিতপ্রাণ মানুষ ছিলেন। আমাদের পিতার সম্পত্তি পরিবারিকভাবে ছিলো এবং জায়গা-জমি ক্রয় করে গেছেন।
গত কিছুদিন পূর্বে ইউপির ওয়ার্ড সদস্য মোঃ দুলাল মালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি তাদের উপস্থিতিতে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমার পিতার সম্পত্তিতে হঠাৎ করে সরকার দলীয় নাম ভাঙানো প্রভাবশালীর ইন্ধনে জোরজরদস্তি করে দেলোয়ার খান, মামুন খান, মনির খান, হাসান খান, জাহাঙ্গীর খান দখল করে আসছে। প্রায় সময়ই তারা আমাদেরকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে আসলাম খানের পুত্র জাহাঙ্গীর খান, দেলোয়ার হোসেন খানের পুত্র সবুজ খান ও তাদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও হাসান খানের স্ত্রী আয়েশা বেগম একত্রিত হয়ে আমার ও আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যাপক মারপিট করে এবং আমার মেয়ের পেটে লাথি দিলে তিন মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে যে, সরকার দলীয় প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে, যা রাজনৈতিকভাবে হেয় করা ছাড়া আর কিছু নয়। বরং তাতেও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আশিকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থক সচেতনভাবে জানেন, আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। তাই এমন কোনো কাজ করিনি যে সংগঠনের দুর্নাম হয়। এদিকে জাহাঙ্গীর খান পারিবারিকভাবেই বিপথগামী। তার ছেলে নেশাদ্রব্য ইয়াবা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক হয়ে বর্তমানে জেল খাটছে। এলাকায় তথা আশিকাটি ইউনিয়নে আমাদের পারিবারিকভাবে শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে সুনাম রয়েছে। তাই উক্ত ভুল তথ্যের সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-হেনা আক্তার।
জিডি ৭২৭/২৩