প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০০:০০
![কচুয়ায় ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম হত্যাকারীর ফাঁসি চায় এলাকাবাসী](/assets/news_photos/2023/06/22/image-34628.jpg)
কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম (৬০)কে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বাড়ির পাশে বিতারা ইউনিয়নের যোগিচাপর বাজারে মনোহরী দোকান দিয়ে কোনোরকমভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতো। ব্যবসায়িক সূত্রে যোগীচাপর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সৈয়দপুর মোড়ের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী মাসুদের সাথে তাজুল ইসলামের লেনদেন ছিলো। পাওনা টাকার জন্যে মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি খুন-জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। ১০ এপ্রিল সকাল ১১টায় মাসুদ অটোরিকশাযোগে তাজুল ইসলামের দোকানে এসে তার কাছে পাওনা টাকা দাবি করে। তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে জানালে মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। এক পর্যায়ে মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে মাথায় নিয়ে পাকা সড়কের উপর ছুড়ে ফেলে।
এ ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শী পার্শ¦বর্তী তেগুরিয়া গ্রামের জুলহাস ও কবির হোসেন জানান, মারধরের এক পর্যায়ে মাসুদ মিয়া তাজুল ইসলামকে মাথায় তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলে তাজুল ইসলাম বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। অজ্ঞান অবস্থায় তাজুল ইসলামকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি ১১দিন পর ২৩ এপ্রিল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে কাজল আক্তার মাসুদ মিয়াকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৯/৯০, তারিখ ১৫ এপ্রিল। ওইদিনই পুলিশ আসামী মাসুদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সরজমিনে গেলে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের কাছে আইনের আওতায় আসামী মাসুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি জানান।