প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ০০:০০
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষোধাজ্ঞা অমান্য করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে। কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নাহারা সরকার বাড়িতে এ জমি দখলের ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির ভুক্তভোগী অখিল চন্দ্র সরকারের ছেলে টিটু রঞ্জন সরকার দাবি করেন, ৫৬নং নাহারা মৌজার বিএস ৯ খতিয়ানভুক্ত দাগ নং-৪৬৩-এর ২২ শতকের অন্দরে পূর্বের অংশের ৭ শতক ভূমি পৈত্রিক সূত্রে তারা ভোগদখল করে আসছে। তার প্রতিপক্ষ একই বাড়ির প্রাণ বল্লভ সরকারের ছেলে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ পংকজ চন্দ্র সরকার আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দখলের উদ্যোগ নিলে তাতে আমি বাধা প্রদান করি। কিন্ত আমার বাধা উপেক্ষা করে ওই সম্পত্তির অংশে ডাঃ পংকজ গং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পাঁয়তারা করতে থাকে। এমনি অবস্থায় আমি গত ৭ জুন চাঁদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারায় স্থিতাবস্থাসহ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
কচুয়া থানার এএসআই মোঃ বাবুল মিয়া ঘটনাস্থলে এসে আদালতের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করেন। কিন্ত এএসআই বাবুল নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই ডাঃ পংকজ গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে দলবল নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথায়ও সে কোনো কর্ণপাত করছে না। সে বলে বেড়াচ্ছে, তার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে কেউ বাধা প্রদান করলে বাধা প্রদানকারীকে দেখে নিবে।
সরজমিনে গেলে ওই গ্রামের মন্টু রঞ্জন সরকার ও সুকুমার সরকার সাংবাদিকদেরকে জানান, টিটু রঞ্জন সরকার গং দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। আদালতের নিষোধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জায়গা দখলের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোনো সময়ে শান্তি বিঘেœর ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডাঃ পংকজের মুঠেফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। এদিকে তাঁর বাবা প্রাণবল্লবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন জানান, কচুয়া হাসপাতালের ডাঃ পংকজসহ তাঁর বাবা আমাকে দেয়াল নির্মাণ বিষয়টি অবহিত করলে আমি সরকারি রাস্তার অংশে ৪ ফুট ও টিটু রঞ্জন সরকারের দখলীয় সম্পত্তি বাদ দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করার জন্য বলেছি। তারা আমার কথা অমান্য করে সরকারি রাস্তার অংশে ও টিটু রঞ্জন সরকারের দখলীয় সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ করেছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম খলিল জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির পর দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।