শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় জোরপূর্বক সংখ্যালঘু পরিবারের জমির মাটি কেটে দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

কচুয়ায় জোরপূর্বক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলে বাধা দেয়ায় জমির মালিক প্রবীর চন্দ্র সরকারকে বেধড়ক মারধর করেছে দখলকারী মিলন গং। গতকাল শুক্রবার সকালে পৌরসভার কড়ইয়া নোয়াবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে শ্রীধাম চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ওই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে মিলন, আবু তাহেরের ছেলে নুরু উদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের কারেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার সকালে বাদীর দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। খবর পেয়ে প্রবীর চন্দ্র সরকার বাধা প্রদান করলে বিবাদীরা লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে প্রবীর সরকারকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিবাদী মিলন জানান, শ্রীধাম চন্দ্র ও প্রবীর চন্দ্রের বাবা অমূল্য চন্দ্র সরকার এই ২৭ শতক জমি বিক্রি করবে বলে আমার কাছে আসলে এই জমির মূল্য ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে ১ শতক জায়গা চলাচলের পথ হিসেবে উন্মুক্ত থাকবে। তারা পর্যায়ক্রমে আমার কাছ থেকে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমি বিক্রি বাবদ ২০ লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে তারা রেজিস্ট্রি না দিয়ে গড়িমসি শুরু করে। তাই আমি জমি দখল করতে যাই।

বাদী শ্রীধাম চন্দ্র সরকার জানান, কড়ইয়া মৌজার সাবেক ৪৩৫ দাগের ২৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বকভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে দখলের চেষ্টা করে মিলন গং। এই জমিটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমরা ও আমাদের বাবা মিলন গংয়ের কাছে জমি বিক্রিবাবদ কোনো স্ট্যাম্পে বায়না করি নি। টাকা আনাতো দূরের কথা।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই বাবুল জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে মাটি কাটা বন্ধ করে দেই। উভয় পক্ষকে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমার এক কর্মকর্তাসহ ফোর্স পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়