প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ০০:০০
![শেখ মুজিব শুধু বাংলার বন্ধু নয়, বিশ্ববন্ধুও ছিলেন](/assets/news_photos/2023/05/29/image-33619.jpg)
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদ আহাম্মদ। তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, জুলিও কুরি শান্তি পদক সবাইকে দেয়া হয় না। পৃথিবীতে যারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন শুধু তাঁদেরকেই এই পদক দেয়া হয়। এই পুরস্কার নোবেল শান্তি পুরস্কারের সমমান। তিনি জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জুলিও কুরি হলেন স্বামী-স্ত্রী। তারা দুজনেই পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন এবং নোবেল পুরস্কার পান। সে অর্থ দিয়েই তাদের নামে বিশ্বশান্তি পুরস্কার পদক প্রবর্তন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন। আর ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু এই পুরস্কার লাভে মনোনীত হন। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০ দেশের ২০০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তঁরা সবাই বংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বিশ্ব শান্তির প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আর পরের বছর ২৩ মে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেই পদক পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সম্পাদক রমেশচন্দ্র। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার অসমাপ্ত কাজ তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি লাভ করেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা লাভ করেছে। অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মাকছুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার উল্যা, সহকারী অধ্যাপক মোঃ সেলিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পারিবরের শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামানা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন সহকারী অধ্যাপক আবু নোমান মোঃ মফিজুর রহমান।