মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এডিবির প্রকল্পের আওতায় থাকা একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করার পর মাত্র ১১ দিনের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কালভার্ট নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলছে সমালোচনার ঝড়।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নন্দীখোলা থেকে দক্ষিণ বকচর গ্রামের মুন্সিবাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ১০ দিন পর সংশ্লিষ্ট রাজমিস্ত্রি এর সেন্টারিং সরিয়ে নিয়ে বক্স কালভার্টের উপরে মাটি ফেলে। বক্স কালভার্টটি ঢালাই দেয়ার নির্দিষ্ট সময় পার না হতেই এর সেন্টারিং সরিয়ে মাটি দেয়ার কারণেই বক্স কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেঙ্গে যাওয়া বক্স কালভার্টের নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদাসীনতা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাকে দায়ী করছেন অনেকে।

উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক তথা এডিবির প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ টাকার বাজেটে ওই বক্স কালভার্ট নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো অপি এন্টারপ্রাইজ। নিয়ম অনুসারে ঢালাই কাজের সময় উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের একজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বক্স কালভার্ট ঢালাইয়ের সময় কোনো সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, বক্স কালভার্ট ঢালাই করার বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়নি। সেই সাথে আমরা ঐ বক্স কালভার্টের কোনো অর্থ তাদের এখনো প্রদান করিনি।

বক্স কালভার্ট নির্মাণে অপি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রিপন পাটোয়ারী বলেন, ওই বক্স কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা। তিনি এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আমাকে অনুরোধ করেছিল স্থানীয় কোনো মিস্ত্রি দিয়ে বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করিয়ে দেয়ার জন্য। যেহেতু কাজটি আমার ইউনিয়নে হচ্ছে তাই ঢালাইয়ের দিন আমিও দেখতে গিয়েছিলাম এবং সবকিছু ঠিকভাবেই হয়েছে। সে সময় উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। রাজমিস্ত্রির খামখেয়ালিপনার কারণেই বক্স কালভার্টটি ভেঙে পড়েছে। এখানে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।