প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![১০ টাকায় মিলছে শীতের পোশাক!](/assets/news_photos/2023/01/25/image-28800.jpg)
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গরম পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। ছেলেরা জ্যাকেট ও সুয়েটার কিনলেও নারীরা চাদরের দোকানে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। তবে অভিজাত দোকান থেকে ফুটপাতের দোকানে ভিড় বেশি হচ্ছে। সাধ ও সাধ্যের এসব ফুটপাতের দোকান থেকে পোশাক কিনছেন মানুষ।
হতদরিদ্রদের সাধ্যের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকাতে এসব ফুটপাতে মিলছে গরম কাপড়। যে দামের মধ্যে রয়েছে সুয়েটার, টুপি, মাফলার, চিকন জ্যাকেট ও ফুলহাতা গেঞ্জি। এমন সস্তায় শীতের পোশাক পেয়ে খুশি এসব ক্রেতা। তবে ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মানসম্মত অনেক ধরনের পোশাক ফুটপাতে বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি দোকানিদের।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর, গৃদকালিন্দিয়া বাজার, রূপসা বাজার, মুন্সিরহাট, গল্লাক, খাজুরিয়া বাজার, রামপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের দোকানগুলোতে কম দামে শীতের পোশাক বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বর ফুটপাতের শীতের কাপড়ের বড় বাজারে পরিণত হয়েছে।
ফুটপাত থেকে শীতের পোশাক ক্রয় করা মধ্যবিত্ত এক ব্যক্তি পরিচয় গোপন রেখে বলেন, বাড়ির কাজের লোকদের জন্য কিনলাম, ১০ টাকা করে দাম হলেও মনে হয়েছে মান খুব খারাপ নয়। এ টাকায় আজকাল কি কোনো পোশাক পাওয়া যায়?
বিলকিছ বেগম (৪৫) নামে একজন বলেন, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এদের ডাকাডাকি শুনে দাঁড়ালাম। দুটি গেঞ্জি পছন্দ হওয়ায় কিনেও ফেললাম।
ফুটপাত দোকানদার গণি মিয়া (৩৫) বলেন, শীতের এসব পোশাক লট ধরে কেনা। গড় হিসেবে ৩ থেকে ৪ টাকা লাভ রেখেই বিক্রি করছি। তাতেই সারাদিনে সকল খরচ বাদ দিয়ে ৮শ’ থেকে এক হাজার টাকা লাভ হয়। এখানে সাধারণত গরিবরাই বেশি আসে। তবে কখনো কখনো বড় লোকেরাও আসে, কিনে নিয়ে যায়, কিন্তু তারা কী করে তা জানি না। কেনার সময় একা একাই বলে, বাড়ির কাজের লোকদের গায়ে ভালোই লাগবে।