প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে গাজী মাঈনুদ্দিন](/assets/news_photos/2023/01/16/image-28470.jpg)
হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রায় দুই সহস্রাধিক তৃণমূলের নেতা-কর্মী নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে গেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন। তিনি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা, দলীয় দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন। এদিন ভোররাতে মুক্তিযোদ্ধা, দলীয় নেতা-কর্মী এবং সংবাদকর্মীদের নিয়ে অর্ধশতাধিক গাড়িযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা আড়াইটার দিকে পৌঁছে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধিসহ নিজ নির্বাচনী এলাকা হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মঙ্গল কামনায় মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গাজী মাইনুদ্দিন আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত কর্মী। তিনি তৃণমূলের রাজনীতিতে শক্ত ভিত গড়েছেন। তিনি শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন, যে পদে তিনি হ্যাট্রিক (তিনবার) করেছেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনকালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌর নির্বাচনসহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচিতকরণে কাজ করেছেন। যার ফলে বর্তমান সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্য ৯টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে গাজী মাইনুদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষ আর দলের নেতা-কর্মীরাই আমার ভরসাস্থল। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছি। সংসদে যেতে পারলে এলাকার উন্নয়ন করতে পারবো। দলের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা রেখেই প্রচারণা শুরু করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে রাজনীতি করি না। চেষ্টা করেছি, তাই নিজের যোগ্যতাবলে মানুষের কাছাকাছি যেতে পেরেছি। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্যে সীমানা বাড়াতে চাই। সেজন্যে মনোনয়ন চাইবো। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং দলীয় সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন, তা মাথা পেতে নিবো।
এ সময় তিনি বলেন, আশা করি মনোনয়ন পেলে সকল প্রতিকূলতা পার করে বিজয়ী হতে পারবো।
গাজী মাঈনুদ্দিনের সফরসঙ্গীদের মধ্যে যারা উল্লেখযোগ্য ছিলেন, তারা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী নূরুর রহমান বেলাল, ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার সুজন প্রমুখ।