বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের বিজয় দিবসের ফুলের ডালা ভাঙলো ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপ
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও শহিদদের স্মরণে ফুল দেয়া নিয়ে ধাক্কাধাক্কি, অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং নিজেদের মধ্যে দলাদলীর কারণে ক্রমশই কমছে শহিদ মিনারে উপস্থিতির সংখ্যা। ফুল দেয়ার আগ-পর নিয়ে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষেও রূপ নেয়। এবারের বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু করে শহিদ বেদীতে নিয়মানুসারে ফুল দেয়ার কার্যক্রম চলছিলো। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে যথাক্রমে সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব, উপজেলা যুবলীগ, ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এর মধ্যে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের অনুমোদিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকী বিল্লাহসহ ছাত্রলীগের একটি অংশ ফুলের ডালা নিয়ে শহিদ মিনারে উপস্থিত হলে এমপি শফিকুর রহমান সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলে।

অন্যান্যবারের মতো এবার অন্যান্য রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেনি। এদিকে এবার কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অ্যাসোসিয়েশন নেতারা জানান।

এদিকে মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ মাঠ ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে মাঠ ত্যাগ করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, বড় দলে বিভক্ত থাকতে পারে। কিন্তু শহিদদের উদ্দেশ্যে আনা ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলা শহিদ মিনার এবং শহিদদের অবমাননা করা হলো। যা বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের মতোই। এটি নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাজ।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহিদ উল্যা তপাদার বলেন, শহিদ মিনারে শহিদদের উদ্দেশ্যে দেশের সকল নাগরিকই সম্মান প্রদর্শন করবেন। কিন্ত আজ যা ঘটলো তা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। মাঠে আয়োজক কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণে মুক্তিযোদ্ধারা বসার স্থান বা সম্মান পায় না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হবে নিঃসন্দেহে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর মান্নান শহিদ মিনারের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, থানা পুলিশের যথেষ্ট উপস্থিতি ও সতর্কতা ছিলো। কিন্তু কখন যে ধাক্কাধাক্কির কারণে বা কারো দ্বারা এ ঘটনা ঘটছে বুঝতেই পারিনি। যদি ইচ্ছাকৃত এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তা সত্যি দুঃখজনক এবং লজ্জারও বটে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমাদের সকলের সামনেই ছাত্রলীগের ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলেছে কথিত ছাত্রলীগ নামধারীরা। যা শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ওসি সাহেবই নন, খোদ সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান মহোদয় নিজেও প্রত্যক্ষ করেছেন। বিজয় দিবসে শহীদদের সম্মান নয়, শহিদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট করতেই একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়