শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

৭ বছর পর স্থায়ী অফিস কক্ষে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥

শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সালে। উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেহের ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এমএ আউয়াল মজুমদার। তৎকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্ধারিত কোনো অফিস কক্ষ না থাকায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে অফিসের কাজ পালন করতেন। ১৯৯০ সালের ২২ মে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ রুস্তম আলী। তিনিও একই জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়েই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জন্যে অফিসার্স কোয়ার্টারের পাশে নতুন করে বাসভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৯২ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্তি করে দিলে সেই বাসভবনটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে। বর্তমান সরকার পুনরায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি ফিরিয়ে দিলে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর জন্যে নির্ধারিত কোনো অফিস না থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বাসভবনটি অফিসের জন্যে প্রস্তুত করা হয়। প্রায় দুই মেয়াদে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী তাঁর মেয়াদকাল বাসভবনটিতেই কাটিয়ে দেন। তাঁর স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পর উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারম্যানের বাসভবনেই অফিস করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিন্টু। এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী। একই ধারাবাহিকতা তিনিও ধরে রাখেন।

ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শাহরাস্তিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান হিসেবে ফরিদ উল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী নাসরিন জাহান চৌধুরী সেফালী ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর দায়িত্ব নেন। তিনিও বাসভবনের অফিস কক্ষে দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে গত বছরের ৪ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত ৪ তলা প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। নতুন কমপ্লেক্স ভবনে আসবাবপত্র ও নানা জটিলতার কারণে প্রায় এক বছর পর প্রস্তুত করা হয় বিভিন্ন অফিস কক্ষ। উক্ত ভবনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডি প্রকৌশলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস স্থান পেয়েছে।

নতুন ভবনে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী সেফালী। দায়িত্ব পালনের মাঝে নতুন ভবনে বসে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। স্থায়ী অফিস না থাকায় দায়িত্ব পালন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। নতুন কমপ্লেক্স ভবনটিতে আমরা সবাই পাশাপাশি থাকবো। যে কোনো সময় প্রয়োজনে সবাইকে কাছে পাওয়া যাবে, কাজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। সবার সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে পারবো। এজন্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

১৯৮৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাসভবনেই কাটিয়ে দিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ। অফিসের দূরত্ব থাকায় অনেক সময় প্রশাসনের সাথে তাদের কাজের দূরত্বও লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে একই ভবনে এক ছাদের নিচে পাশাপাশি বসবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পাশে থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগণ। তাই কাজের তদারকি ও সমন্বয় বৃদ্ধি পেলে উপজেলাবাসী উপকৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন ভবনে নতুন রূপে পথচলা সুফল বয়ে আনবে এটাই শাহরাস্তিবাসীর প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়