শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী শিক্ষকের পুনঃযোগদানকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জেরে বহিষ্কৃত শিক্ষক পুনরায় যোগদানের সংবাদে বিক্ষোভে পেটে পড়ে এলাকাবাসী। ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কান্তি সরকার স্কুলে পুনরায় যোগদান করতে গেলে তোপের মুখে পড়েন।

গতকাল ১৯ অক্টোবর বুধবার দুপুরে গোয়ালভাওর বাজারের পাঁচ শতাধিক মানুষ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা দাবি করেন, বিপ্লব কান্তি যাতে কোনোভাবে স্কুলে যোগদান করতে না পারে। সে বিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে যে কোনো মূল্যে তাকে প্রতিরোধ করবে। এ সময় বিক্ষুব্ধদের শান্ত রাখতে না পেরে প্রধান শিক্ষক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশ ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির আহমেদ জানান, তার পোস্ট নিয়ে যখন উপজেলাব্যাপী উত্ত্যপ্ত পরিবেশ বিরাজ করে, তখন ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে ফরিদগঞ্জ থানা বিপ্লব কান্তির মোবাইল ও সিম জব্দ করে। সত্যতা যাচাই করার জন্যে তা আইটি শাখাতে প্রেরণ করে। পরদিন বিদ্যালয়ের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী ওসির সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি বিষয়টি সত্য বলে জানান। তারই আলোকে তিনি জরুরি সভা ডেকে বিপ্লব কান্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সেই সাথে সিদ্ধান্তটি বোর্ডকে জানানো হয়। কিন্তু বোর্ড গত ২৩/০৮/২২ তারিখে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ থেকে অবমুক্তি করে তাকে বিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদানের সুপারিশ করা হয়। সে আলোকে তিনি গত ১৭ তারিখে স্কুলে আসেন এবং আজ এ পরিস্থিতি ঘটে।

এ বিষয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী বলেন, তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এবং সেটা পুলিশ বিভাগের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও আমরা বোর্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে বারবার নোটিশ দিয়েছি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্যে, কিন্তু তিনি যোগদান করেননি। অথচ তিনি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপ্লব কান্তি বলেন, আমি বোর্ডের সম্মতিপত্র নিয়ে স্কুলে যাই। ১৮ অক্টোবর ছিলো আমার পুনরায় যোগদানের শেষ সময়। আমি ১৭ তারিখ স্কুলে গিয়ে বোর্ডের পেপার এবং অগ্রিম ৩ দিনের ছুটির আবেদন করে আসছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আশঙ্কা করেছি সেখানে যোগদান করলে আমার ওপর হামলা হবে। তাই থানায় জিডি করেছি।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এখনো লিখিত কিছু পাইনি। যদি পাই আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সামাধান করার আহ্বান করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়