শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি ভালোবাসার নাম
অনলাইন ডেস্ক

১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার ‘শেখ রাসেল দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ৯টায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে কলেজের পক্ষ থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় ‘শেখ রাসেল দেয়ালিকা’ উন্মোচন করা হয়। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে শহিদ শেখ রাসেল স্মরণে কলেজ ক্যাম্পাসে গাছের চারা রোপণ করা হয়। সকাল ১০টায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কেন্দ্রীয়ভাবে সম্প্রচারকৃত অনুষ্ঠানসমূহ প্রজেক্টরের মাধ্যমে ‘চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সকাল ১১টায় শহিদ শেখ রাসেল সম্পর্কে কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ শেখ রাসেল সম্পর্কে আলোচনা সভা ও ১২টায় শেখ রাসেল দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে কলেজের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া ও গীতা পাঠ করেন প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সাহা। আলোচনা সভায় কলেজের সাহিত্য ও সংস্কৃতি কমিটির আহ্বায়ক ড. মোঃ মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক আল-আমিনের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল খায়ের খান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক প্রমুখ।

কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ১৮ অক্টোবর ১৯৬৪ সালের এইদিনে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে কনিষ্ঠ পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে ৫৮ বছরের মানুষটি হতেন এক অন্যান্য গুণাবলির ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারের চিহ্নটুকু নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আর তাদের এই ঘৃণ্য অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতার পর্যবসিত হয়েছে। এটি আজ প্রমাণিত। শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি বোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে একটি ভালোবাসার নাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দর্শন ও আদর্শ ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সফলতার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং গড়ে তুলেছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশে। ক্রমাগত বৃদ্ধি করেছেন মাথাপিছুু জাতীয় আয়, জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার হার, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, শিল্পায়ন, রপ্তানি বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, পদ্মাসেতুসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং এসডিজি-২০৩০ ও ভিশন-২০৪১-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বানিয়েছেন উন্নয়নের রোল মডেল।

কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের মিথিলা জাহান, দ্বিতীয় হয়েছেন একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের সায়মা আক্তার এবং তৃতীয় হয়েছেন একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের রিপা আক্তার। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্ট, গার্লস ইন রোভারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়