প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দোকান খোলা নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চোর-পুলিশ খেলা শুরু করেছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরসহ প্রতিটি বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ বা সেনাবাহিনী লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নামলে এবং বাজারের একটি অংশ থেকে অভিযান শুরু হলে শুধু সার্টার নামানোর প্রতিযোগিতা শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এভাবেই ব্যবসায়ীরা লকডাউন চলাকালে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সচেতন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও চোর-পুলিশ খেলারত ব্যবাসায়ীদের কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান।
বিষয়টি নজরে আসার পর ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন ব্যবসায়ীদের কূট কৌশলের বিপরীতে পাল্টা কৌশল নেন। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারে থানা পুলিশের সদস্যদের সিভিল ড্রেসে পর্যবেক্ষণে পাঠান। বিষয়টি শেয়ার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরির সাথে। পরে ইউএনও শিউলী হরির নেতৃত্বে ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব দোকানদারকে চিহ্নিত করেন। পরে তাদেরকে কেন সরকার লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে, একই সাথে করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রয়োজন-এই বিষয়ে ইউএনও শিউলী হরি ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন প্রতিটি ব্যবসায়ীকে বোঝান।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলা রাখার অপরাধে দ-বিধি ১৮৬০-এর ২৬৯ ধারায় দায়ী ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।