শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

শারদীয় উৎসব উদযাপনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
বিমল চৌধুরী ॥

যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরুপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমেঃ নমঃ। বছর ঘুরে আবার এলো শারদীয় দুর্গোৎসব। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় জেলার ২১৯টি পূজা মণ্ডপ দেবী আরাধনায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে রযেছে ব্যস্ত। বৈশি^ক মহামারি করোনার কারণে গত দু’বছর অনাড়ম্বর পূজা-অর্চনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল দুর্গাপূজা। তবে এবার সেই সীমাবদ্ধতা কেটেছে। এ বছর ব্যাপক আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিলক্ষিত হচ্ছে বিশাল আকারের সুসজ্জিত প্যান্ডেল। আর প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছে মৃৎ শিল্পীগণ। পূজার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর দুঃস্থ অসহায় ভক্তদের আহার্যের জন্যে পূজা মণ্ডপে সরকারি অনুদান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরকারিভাবে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা চাঁদপুরের ২১৯টি পূজা মণ্ডপের জন্যে ৫শ’ কেজি হিসেবে ১১০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করেছে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উৎসবকে ঘিরে জেলার ৮ উপজেলায় চলছে আনন্দ উৎসাহ।

জেলার ২১৯টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩৬টি, হাজীগঞ্জে ২৯টি, কচুয়ায় ৪১টি, হাইমচরে ৬টি, শাহরাস্তিতে ১৮টি, ফরিদগঞ্জে ২০টি, মতলব দক্ষিণে ৩৮টি এবং মতলব উত্তরে ৩৮টি পূজা মণ্ডপ।

বর্তমানে প্রতিটি পূজামণ্ডপে চলছে দেবী প্রতিমার শরীরে বিভিন্ন রংয়ের প্রলেপ দেয়ার কাজ। ডেকোরেটরের সাজসজ্জার কাজও প্রায় অনেকটা রয়েছে শেষ পর্যায়ে।

উল্লেখ্য, সারাদেশে এ বছর ৩২হাজার ১শ’ ৬৮টি পূজামণ্ডপে উদযাপন করা হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। সব মণ্ডপেই নিরাপত্তা নিয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিষদের সভাপতি জে. এল. ভৌমিক এ কথা জানান।

তিনি বলেন, গত বছরের সহিংসতার কথা মাথায় রেখে এ বছর সরকার চাচ্ছে কোনও অবস্থাতেই যেন কোনও অঘটন না ঘটে। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি সক্রিয়। আমাদের ৩২ হাজার ১শ’ ৬৮টি মন্দির সুরক্ষা দেয়া খুব কঠিন। তাই আমরা এ বছর প্রত্যেক মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছি, যারা রাতেও পাহারা দেবে।’

চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ জানান, গত বছর শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন যে পরিস্থিতি ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে তা ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় চাঁদপুর জেলার কয়েকটি স্থানের পূজা মণ্ডপেও কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে সে সময় পূজা মণ্ডপের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনসহ জেলার অসাম্প্রদায়িক নেতৃবৃন্দ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। আমরা আশা ও বিশ্বাস রাখি, শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্নে এ বছরও প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়