প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
বিএনপির চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় কিছুটা উত্তেজনা হলেও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে শান্তিপূর্ণভাবেই উভয় দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ আগস্ট সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরের কেরোয়া এলাকায় এই সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, দেশব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ আগস্ট সোমবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কেরোয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে পৌর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একই এলাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এবং বিএনপির সরকার বিরোধী কর্মসূচির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে হঠাৎ করেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে উভয় দলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত গাজী জানান, সোমবার কেরোয়া স্কুলে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সে মোতাবেক আমরা বিকেল ৩টায় বিদ্যালয়ের ভেতরে সমাবেশ করি। ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে পৌর বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি ছাড়াও সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, যুবদলের সদস্য সচিব আঃ মতিনসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিলেও পুলিশের উপস্থিতিতে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন মনির জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও কুশীলবদের বিচারের দাবিতে এবং বিএনপির সরকার বিরোধী ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির প্রতিবাদে পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। সোমবার বিকেলে মিছিলে আমি ছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম সোহাগ, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিমুলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি মজিদিয়া ট্রাস্টের সামনে থেকে কেরোয়া বিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে দুই দলের সমাবেশ ও মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওসি মোহাম্মদ শহিদ হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। ফলে কোনো ধরনের অঘটন ঘটেনি। পুলিশ পুরো কেরোয়া এলাকায় টহল দেয় সন্ধ্যা পর্যন্ত।
একই দিন উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ও গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপি অনুরূপ কর্মসূচি থাকলেও আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচি থাকায় সংঘাত এড়াতে বিএনপি তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে বলে জানা গেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, উভয় দল পৌর এলাকার কেরোয়া এলাকায় কর্মসূচি ডাকায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করি আমরা। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো ধরনের সংঘাত ঘটেনি।