বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

হাজরা গ্রাম রক্ষার কাজে অনিয়ম
সোহাঈদ খান জিয়া ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত হাজরা গ্রাম। দীর্ঘ বছর ধরে ডাকাতিয়া নদী এ গ্রামটিকে গ্রাস করে ফেলছে। ডাকাতিয়ার ভাঙ্গনের কবলে বহু মানুষ ভিটেমাটি ও আবাদী জমি হারিয়েছে। ভাঙ্গন রোধকল্পে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে বহু লেখালেখি ও বিভিন্ন স্থানে আবেদন করার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের টনক নড়ে এবং প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজে অনিয়ম করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, ঠিকাদার ভাঙ্গন স্থানের কোনো কোনো জায়গায় ৩/৪ টি করে বস্তা ফেলে থাকেন। যে স্থানে নদীর স্রোত আঘাত করে, সে স্থানে বালিভর্তি বস্তাগুলো ফেলা হয়। কিন্তু জোয়ারের সময় পুনরায় মাটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। পুরোপুরি কাজ না করে ঠিকাদার কাজ শেষ করে দেয়। ঠিকাদার ভাঙ্গন কবলিত স্থানের নিকটে উপরে বালির বস্তা রেখে দেন এবং স্থানীয় খোকন মিজি ও মানিক মিজিকে বলে দেন, বালির বস্তাগুলো তাদের নিজ উদ্যোগে নদীর পাড়ে ফেলার জন্যে।

জানা যায়, সরকার দলীয় লোকজন কাজটি করার কারণে স্থানীয় অসহায় নিরীহ মানুষ ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায় না। যার ফলে ঠিকাদার মন মতো অনিয়মের আশ্রয়ে কাজ শেষ না করে চলে যান। এ নিয়ে ঐ এলাকায় কানাঘুষা শোনা গেলেও কেউ কাজের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কোথাও দেওয়ার সাহস পায় না।

গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাজরা গ্রামের ভাঙ্গনকৃত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব-দক্ষিণ পাশে নাম মাত্র ক'টি বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে বালির বস্তা ফেলার স্থান পূর্বের ন্যায় ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর ভাঙ্গনকৃত স্থান রক্ষার জন্যে একটি তালগাছ বেঁধে রাখা হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ২/৩ টি বসতঘর ডাকাতিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সহায়তায় কাজের ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয়ে ভাঙ্গন রক্ষার কাজ করেন। ভাঙ্গন রক্ষার স্থানের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে বালির বস্তা ফেলা হয় না বললেই চলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক’ব্যক্তি জানান, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সহায়তায় ঠিকাদার অনিয়মের সাথে কাজ করেন। কাজ শেষ না করে বালির বস্তা রেখে দেন এবং খোকন মিজি ও মানিক মিজিকে বলে দেন বালির বস্তাগুলো নদীর পাড়ে ফেলার জন্যে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মুনসুর খান বলেন, কাজের অনিয়মের বিষয়ে এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। আমি কাজের স্থানে গিয়ে দেখেছি দক্ষিণ পাশে তেমন বালুর বস্তা নেই।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফায়েত জামিল বলেন, আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে কাজ তদারকি করেছি। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। যে পরিমাণ বরাদ্দ এসেছে সে পরিমাণ কাজ করানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়