প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২২, ০০:০০
পবিত্র ঈদুল আজহার বন্ধ শেষে শনিবার মাধ্যমিক পর্যায়ের মাদ্রাসা ও এবতেদায়ী শাখা খোলা হলেও বন্ধ ছিলো ধানুয়া ছালেহিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা। সকাল এগারোটায় মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় অফিসসহ সবকিছুই বন্ধ রয়েছে।
মোবাইল ফোনে ক’জন অভিভাবক খবর দিলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ধানুয়া বাজার সংলগ্ন ধানুয়া ছালেহিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, অফিস রুম ও বিভিন্ন ক্লাসের তালা বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় বাজারে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি শনিবার উপজেলার সব মাদ্রাসা খোলা। কিন্তু আমাদের এই মাদ্রাসাটি বন্ধ। তাই সংবাদকর্মীদের শরণাপন্ন হয়েছি।
মাদ্রাসার সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি হতবাক! প্রিন্সিপাল সাহেব অসুস্থ। সেই কারণে মাদ্রাসা বন্ধ নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে আমি কথা বলেছি। তিনি বিভিন্ন রকম অবান্তর কথা বলে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অসুস্থ থাকার কারণে, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল এইচএম মহিউদ্দিনের সাথে কথা বলার জন্যে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কথা বলেননি।
অন্যদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হজ করার উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কায় অবস্থান করার কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি মাদ্রাসা বন্ধ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমুন নেছা বলেন, এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এগুলোর বিষয়ে শিক্ষকরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন, হয়তো এই মাদ্রাসা আজকে বন্ধ আগামীকাল খোলা হবে। এই নিয়ম করে নিয়েছে বলে তিনি ধারণা করেন।