মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

কোরবানির জন্যে প্রস্তুত ‘বহরিয়ার লাল বাদশা’
মিজানুর রহমান ॥

লাল রংয়ের বড় আকৃতির মোটাতাজা গরু। মালিক আদর করে গরুটির নাম রেখেছেন ‘লাল বাদশা’। রাজা-বাদশাদের মতোই গরুটির হাবভাব, হম্বিতম্বি যেন। অপরিচিত কেউ কাছে ঘেঁষলেই মাথা নাড়ছে সে। নাক দিয়ে ফোঁসফোঁস আওয়াজ বেরুচ্ছে। ভাবটা এমন, সুযোগ পেলেই যেন সজোরে গুঁতা দিয়ে দেবে। সরজমিনে এমনটাই দেখা গেছে গরুটি দেখে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরুটি বিক্রির জন্যে প্রস্তুত রয়েছে। চাঁদপুর সদরের লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামে আছে এই লাল বাদশা। সাড়ে ৫ ফুট লম্বা লাল বাদশার ওজন হবে প্রায় ১৩ মণ। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদপুর শহরের পরিচিতজন আলহাজ্ব মোঃ হাফেজ বেপারী এ গরুটির মালিক। নিজের খামারের গাভীর বাচ্চা থেকে এটি লালন পালন করে বড় করেছেন তিনি। দেশীয় উন্নতমানের সেরা এ গরুটি সবার নজর কাড়বে।

বহরিয়ার ‘লাল বাদশা’র দাম হাঁকা হবে ৭ লাখ টাকা। এমন তথ্য জানিয়েছেন চাঁদপুর বহরিয়া মৎস্য হ্যাচারীর পরিচালক নুর মোহাম্মদ বেপারী।

তিনি বলেন, এই গরুটার বয়স প্রায় সাড়ে ৪ বছর। যার নাম হলো লাল বাদশা। গরুটি আমাদের ফার্মের বাছুর থেকে বড় হয়েছে। এটাকে ঘাস, খড়, ভূষিসহ স্বাভাবিক খাবার খাইয়েই ছোট থেকে বড় করেছি। এটাকে আমরা প্রায় ১৩ মণ বললেও কসাই দিয়ে মাপলে ১৫ মণের বেশি হবে। লাল রংয়ের এই লাল বাদশা গরুটি শাহী গোয়াল গরু হওয়ায় এটি যে কারোরই দেখলে পছন্দ হবে।

বহরিয়া মৎস্য হ্যাচারীর কর্মচারী শাহজাহান বলেন, আমি এই ফার্মে ১৫ বছর যাবৎ চাকরি করছি। লাল বাদশা গরুটাকে গেলো সাড়ে ৪ বছর যাবৎ লালন পালন করছি। এটাকে খৈল, ভূষি, খড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। আশা করছি চাঁদপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের এটাই সবচেয়ে বড় গরু।

এ বিষয়ে বহরিয়া মৎস্য হ্যাচারীর প্রোপ্রাইটর ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাফেজ বেপারী বলেন, ৯০ সন থেকে আমি হ্যাচারীর ব্যবসায় জড়িত। মন্ত্রী, এমপি, সচিব এবং বিদেশী প্রতিনিধি দল এই হ্যাচারী পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। আমার এই হ্যাচারীর সফলতা ও সুনাম ইউনিয়নবাসী এবং চাঁদপুরের সর্বমহলের কাছে প্রশংসিত ছিল। নানা কারণে নানা প্রতিবন্ধকতায় এটি বন্ধ রয়েছে।

বর্তমানে এই হ্যাচারীতে ৪/৫ টা গরু লালন পালন করছি। এরমধ্যে ৩টা গাভী এবং ২টা ষাঁড় রয়েছে। তার মধ্য থেকে লাল বাদশা নামের গরুটা কোরবানির প্রয়োজনে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। আমরা দাম চাচ্ছি ৭ লক্ষ টাকা। আশা করছি যে কারোরই এই গরুটা দেখলে পছন্দ হবে। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে এই হ্যাচারীটি ধরে রাখতে পারি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়