প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ড্রেজারের ঘোলা পানিতে কৃষকের স্বপ্ন ডুবে গেলো। শেষ অবলম্বনটুকু টিকিয়ে রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ড্রেজারের ঘোলা পানি জমে থাকাসহ কৃষি মাঠের পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এমনটি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের সন্না খান বাড়ির সামনের কৃষি মাঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই মাঠে অন্য বছরগুলোর মতো চলতি শীত মৌসুমে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, কুমড়া, সরিষা, টমেটো, ইরি-বোরো ধানের চাষ করেন উক্ত মাঠের জমির মালিকগণসহ কিছু বর্গা কৃষক। সব ফসলে ইতিমধ্যে ভালো ফলন এসেছে কিংবা ফলন আসার অপেক্ষায়।
গত ক’দিন পূর্বে উক্ত কৃষি মাঠের দক্ষিণ পাশে খোকন দে বাড়ির মূল পুকুর ভরাট করছে ড্রেজার দিয়ে। সেই ড্রেজারে আসা বালিমিশ্রিত পানি উপচিয়ে আশপাশের কৃষি জমিতে গিয়ে জমতে শুরু করে। সেই জমে থাকা পানিতে কৃষি জমির ইরি-বোরো বীজতলা, ইরি-বোরো ধানের জমি, আলু, রসুন, সরিষা, টমেটো ফসল নষ্ট হবার পথে রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত কৃষি জমির উত্তর পাশে তালুকদার বাড়ির সামনে পানি নিষ্কাশনের যে কালভার্ট রয়েছে তা দিয়ে পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দিলে উক্ত মাঠের পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবে।
ড্রেজার পরিচালনাকারী নজরুল ইসলাম জানান, আমরা পুকুর ভরাটের জন্যে অন্য একজনকে চুক্তি দিয়েছি। তার ভুলে এ সমস্যা হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ জানার পর ড্রেজার এক মাসের জন্যে বন্ধ রাখা হয়েছে।
উক্ত মাঠে জমি রয়েছে এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্যাহ খান কাজল জানান, পানি নিষ্কাশনের পথ না রেখে ড্রেজার চালানো ঠিক হয়নি। এতে করে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
উক্ত মাঠে বর্গা জমি চাষকারী গিয়াসউদ্দিন হাওলাদার জানান, মাত্র কয়েকদিন হলো ইরি ধান রোপণ করেছি, এখন সেই জমি নষ্ট হওয়ার পথে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, বিষয়টি আমি শুনে ওই মাঠ পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে বলেছি, তারা যেনো ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দেয়। সম্ভবত আজ (বৃহস্পতিবার) কৃষকরা অভিযোগ দিয়েছে।